- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২২ ডিসেম্বর ২০২০
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সর্বশেষ বিবেচনায় গণতন্ত্রের কাছে স্বৈরাতন্ত্র পরাজিত হবে। এটা আমার কথা না। এটা ইতিহাসের কথা। আমি হিটলারের কথা বলবো না। তাহলে যিনি (শেখ হাসিনা) মসনদে বসে আছেন তিনি অখুশি হবেন। আমি মুসোলিনির কথা এখানে উল্লেখ করব না। তিনি বড় কষ্ট পাবেন। কিন্তু আমি তাকে (শেখ হাসিনা) বলব, পাকিস্থান আমলে ও বাংলাদেশে অনেক হিটলার ও মুসোলিনিকে দেখেছি কেউ টিকে নাই। গণতন্ত্রের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না। পারবেন না। কারণ আমাদের নেতা হচ্ছে জিয়াউর রহমান, আমাদের নেতা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। তাই বিজয় অবশ্যই গণতন্ত্রের পক্ষে হবে।
সোমবার ২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিষ্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) এর আয়োজিত ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ স্মরণে রক্তঝরা মতিহার এবং রিজভী আহমেদ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্রদল যতদিন আছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আছে।জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাবেক ও বর্তমান নেতারা যতদিন বেঁচে আছে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আছে। তারা যতদিন বেঁচে আছি বিএনপির ভবিষ্যৎ আছে। তারা যতদিন বেঁচে আছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আছে। এটা মানতে হবে।
বর্তমান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভাগ্যবান উল্লেখ করে সাবেক এই ছাত্রদল সভাপতি বলেন, আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানকে কিছু সময় পেয়েছিলাম। বড় সময়টা হচ্ছে, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে পেয়েছি। কিন্তু আজকের ছাত্রনেতাদের কে ভাগ্যবান বলবো তারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে পেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আছে তাহলে ভয় কিসের। হতাশ হওয়ার কি আছে?
দুদু বলেন, আমি প্রায় সময় বলি পরবর্তী সরকার হচ্ছে বিএনপি সরকার। কারণ ছাত্রলীগই দুর্নীতির যে মহামারীতে পড়েছে। ছাত্রদল তো পড়ে নাই। পড়েছে? পড়ে নাই। তাহলে আমাদের ভয় টা কি? বিএনপি, ছাত্রদল ভয় পাবেনা। ভয় তো পাবে আওয়ামী লীগ। যে চুরি করেছে, যে লুটপাট করেছে। এই বিজয় মাসে বলতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে তারা কেড়ে নিয়েছে। এক সাগর রক্তের সাথে তারা বেইমানি করেছে। গণতন্ত্রকে, সংবিধান কে, আইনকে, নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংক লুট করেছে। কি করে নাই তারা? সবকিছুই করেছে।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, একজন রিজভী আহমেদ তার সাহসিকতা সে সময়ের বক্তব্য, ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। শেষ করা যাবে না এই কারণে আমরা যারা এখানে বসে আছি। সেই সময়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলাম। অনেকেই সেই সময় আমাদেরকে মানতে চায় নাই। কারা মানতে চাই নাই? ছাত্রলীগ মানতে চায়নি। আমরা যে ছাত্র সংগঠন এটাই তারা স্বীকৃতি দিতে চায় নাই। রাজশাহীর বাদশা এখন এই সরকারের তথাকথিত বিদ্রোহী আমাদের মানতে চায়নি। জাসদ ওরে বাবা কি ধরনের বিপ্লবী সব। এখন জাসদ আছে বলে মনে হয় না। তারাও মানতে চায় নাই। কিন্তু রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সোহেল এবং এর ভিতরে বাহিরে যারা আছে তারা প্রমাণ করেছে তারা ইতিহাসের মহানায়ক হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
সাবেক এই ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, একজন রিজভী আহমেদকে ছাত্রদল তৈরি করেছিল বলেই বছরের পর বছর বিএনপির অফিসে বসে বিএনপির কথা মানুষকে, দেশবাসীকে, বিশ্বকে জানিয়েছে। তাকে অনেক সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গেলে বুঝতে পারবেন। ওই ছোট্ট একটা চকির মধ্যে থেকে নেতার প্রতি, নেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে কাজ করা। এবং বিএনপির কথা দেশবাসীকে ও বিশ্ববাসীকে জানানো কি রকম। কিন্তু রিজভী করেছে। তাই তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার এর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবির এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।