ডিফেন্স রিসার্চ, খবর এবং তথ্যের সমাহার
সম্প্রতি ভারতের কিছু সংবাদপত্র এবংং নিউজ পোর্টালে বাংলাদেশ-চীনা সম্পর্কন্নোয়ন কে “খয়রাতি” চীনের বাংলাদেশকে দেয়া খয়রাত মন্তব্য করে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করা হয়।এরই অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি চীন সরকারের দেয়া বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে এমন বিরূপ মন্তব্য করাকে “ছোট মনের পরিচয়” বলে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোনেম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খয়রাতি খবর বাংলাদেশীদের ক্ষুদ্ধ করেছে
জনাব মোনেম আরো জানান,ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কর্তৃক দেয়া এমন খবর একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।তবে আমরা জাতীয় পর্যায়ে কোন ব্যবস্থা নিতে চাইনা।
পপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো মনে করেন যেসব পত্রিকা এবং সাইট এসব নিউজ প্রচার করেছে তা “সাংবাদিক নৈতিকতা বিবর্জিত”..
কূটনৈতিক বিষয়ে ভারতীয়দের আরো সাবধানী হওয়া প্রয়োজন
মুলত,বাংলাদেশ LDC ভুক্ত হওয়ায় চীন থেকে ৬ বছর যাবত বেশকিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দাবী করে আসছিল।যার কাংখিত মুল্যায়ন ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলের মাধ্যমে গত ১৯ তারিখ এসেছে।এক কথায় এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় , “তারা(চীন) যে সুবিধা আমাদের দিয়েছে তা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘদিনের ফসল। অনেকদিন ধরেই আমরা এই সুবিধা চীনের কাছে চেয়ে আসছিলাম।”
ড. মোমেন আরো জানান বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমাদের অর্থনীতি বিরাট একটা ধাক্কা খাচ্ছে। তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতারা বিরাট অংকের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসা কমবে বলেও আশঙ্কা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সকল বন্ধু দেশের কাছেই সহায়তা চাই। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পণ্যে আগামী দুই বছর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা চেয়েছি। তারা বিবেচনা করবে বললেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
অন্তত দুই বছরের জন্য তৈরী পোশাক খাতে যুক্তরাষ্টের নিকট শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ
মুলত ৫৭০০ টির চাইতে বেশী পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইলেও সব মিলিয়ে ৮০০০ এর বেশী বাংলাদেশী পণ্য অর্থাৎ প্রায় ৯৭.৭৮% পন্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।যুক্তরাষ্ট্র থেকেও যদি এমন শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় তবে তা নি:সন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাংগা করবে।ভারত ৯৪% শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার কাগজে কলমে দিলেও এখনো অশুল্ক বাধা এবং শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারে শর্ত বজায় রেখেছে
চীনের দেয়া সুবিধা খয়রাত নয়,এটি কূটনৈতিক অর্জন
মন্ত্রী আরো জানান, এটি খয়রাত নয়।বরং এটি কূটনৈতিক অর্জন।
অবশ্য,ভারতীয় সরকার সরাসরি না বলার প্রতিবাদটুকু ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধে করা না গেলেও কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যে ভারতের পক্ষে নেই তা অন্তত মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।
খয়রাত নিউজের জনক আনন্দবাজার পত্রিকা এবং জি-নিউজের বাংলা সংস্করণ ২৪ ঘন্টা
অতি সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনারা চীনা সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপকভাবে প্রহত হয়।নিজের সম্মান বাচাতে মরিয়া ভারতীয় চ্যানেলগুলো ঘটনা অন্যদিকে মোড় দিতে,সংঘর্ষের ১ দিন পড়ে চীন কর্তৃক বাংলাদেশকে দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতেই এমন নিউজ প্রচার করে।উল্লেখ্য,২০ জুন সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে নিয়ে “খয়রাতি” শব্দের ব্যবহার করে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।এরপরই “খয়রাত” শব্দ ব্যবহার করে জি নিউজের বাংলা ভার্সন খ্যাত “২৪ ঘন্টা”..
এতে ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম-ডেফ্রেস,সময়টিভি সহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকসমুহ প্রতিবাদ জানালে পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয় বিষয়টি। যার ফলাফলস্বরুপ বিবৃতি দেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন