বগুড়া
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আওয়ামী লীগ সরকারের খুব দ্রুতই পতন ঘটানো হবে। দেশের মুদ্রা যাঁরা বিদেশে পাচার করেন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কানাডায় বেগমপাড়া গড়েন, তাঁদের দেশে থাকার অধিকার নেই। শিগগিরই অবৈধ এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানো হবে।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আজ শুক্রবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর। সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করেছেন, কিন্তু আমেরিকা-কানাডা তাঁদের পালানোর দুয়ার আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। এই সরকারের অবস্থা এখন চোরের মায়ের বড় গলার মতো। দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন ও বিদেশে মুদ্রা পাচারে সরকার শিরোপা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে নোবেলও পেতে পারে এ দুর্নীতিবাজেরা। এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নাগরিক হিসেবে অহংকার বোধ করার কিছু নেই। এদের ক্ষমতায় থাকাটা লজ্জা এবং অপমানের।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার, বগুড়া-৬ (সদর) সদর আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সাংসদ মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।
সদর বিএনপির নেতৃত্বে মাফতুন-জহুরুল
বগুড়া সদর বিএনপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাফতুন আহম্মেদ খান। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন জহুরুল ইসলাম। সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁদের নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া আবু সালেহ নয়ন ও আতিকুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়া সদর আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর পর বগুড়া সদর উপজেলার সম্মেলন হলো। সর্বশেষ সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয় ২০১০ সালে।
বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় কাউন্সিল। এতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৭১০ জন কাউন্সিলর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সম্মেলনে সভাপতি পদে দুজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী ছিলেন।