খালেদা জিয়া অনেকটাই সুস্থ আছেন : ডা. জাহিদ

মার্কিন চিকিৎসক টিমের সফলভাবে অস্ত্রোপচারের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, টিপস এই মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করছে। আজ পর্যন্ত ভালো কাজ করছে। যার জন্য উনি অনেকটাই সুস্থতাবোধ করছেন। আর এটির কারণে তিনি অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া পরিবারসহ আমরা বহু আবেদন করেছি। কিন্তু উনাকে বিদেশ নেয়া সম্ভব হয় নাই। তারপরে আমরা  যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসকসহ আমাদের মেডিকেল বোর্ড গত ২৬ অক্টোবর সফলভাবে টিপস প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যার উপরে করা হয়েছে, তিনি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর অত্যন্ত স্বার্থকভাবে টিপস এই মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করছে। আজ পর্যন্ত ভালো কাজ করছে। যার জন্য উনি অনেকটাই সুস্থতাবোধ করছেন।

যার জন্য উনি আজকে বাসায় আসতে পেয়েছেন। কিন্তু এই চিকিৎসা ক্ষণস্থায়ী। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে আমরা মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে নেয়ার কথা বলছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ এবং বিদেশে সকল চিকিৎসকররা মাঝে মাঝে বসছেন। রোগী এবং রোগের অগ্রগতির বিষয়ে পর্যালোচনা করে চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যে পরিবর্তন আনা দরকার, সেটা যথাযথ সময় আনছেন। সেটি করার কারণে তিনি অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। এই সুস্থতাকে ধরে রাখতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে নেয়া যাবে ততই উনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। আশঙ্কা থেকে উনি মুক্ত হবেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এই বয়সে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে কি যাবে না। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা তাদের সেন্টারের কথা বলেছেন কিংবা আমাদের যে প্রয়োজনীয় সেন্টার, এজন্য আমরা সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউকেও যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তারা সাহস করতে পারেনি যে, এই ধরনেরর রোগী ওখানে গিয়ে টিপস করবেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের ডাক্তারদের যে জ্ঞান আমরা দেখতে পেয়েছি, বেস্ট। তারা আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা যতো শিগগির সম্ভব উনাকে আমাদের সেন্টারে আনো। সেই চিকিৎসকদের যে পরামর্শ, সেটা হলো আমরা উনাকে যত দ্রুত সম্ভব জনস হপকিনসে নিতে পারি এবং ওখানে যদি চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে স্থায়ী সুস্থ থাকা সম্ভব।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বলার কিছু নেই। অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। তাই উনার সুচিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে যার যার দায়িত্ব পালন করবেন।
ডা. জাহিদ বলেন, দেশি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসকদের প্রচেষ্টার ফলে প্রায় ১৫৫ দিন পরে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় এসেছেন। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এবং অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা চলবে এবং অব্যাহত থাকবে।

দীর্ঘ পাঁচ মাস এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে বাসায় ফিরেন তিনি।

মানব জমিন