খালেদা জিয়াকে লিভার প্রতিস্থাপনে জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নিতে হবে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ১১তলায় কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

তারা বলেন, চিকিৎসায় আমাদের হাতে আর কিছু নেই। যা কিছু করার ছিল করা হয়েছে। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের হাতের সমস্ত অপশন শেষ হয়ে গেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। তাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা করা হলে হয়তো অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তার জন্য জরুরি হলো টিপস প্রসিডিউর অ্যাপ্লাই করা। এটা করা হলে পেটে একফোঁটা পানিও থাকবে না।’

ডা. মহসিন বলেন, ‘লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য যে সেটআপ, তা এখনো বাংলাদেশে নেই। খালেদা জিয়ার মতো ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনের পেশেন্টকে বিদেশে নেওয়া ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।’

ডা. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পেটে পানি জমা ও ইনফেকশন হওয়া খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। এতে মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এবারে আমরা ওনাকে বাসায় নিতে পারছি না। আমাদের হাতে আর কোনো চিকিৎসা নেই। এমতাবস্থায় তার মৃত্যুঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।’

ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘যখন কোনো কলাপস হয় তখন সিসিইউতে নেওয়া হয়। সিসিইউতে যে সেটআপ আছে কেবিনে সেটা নেই। টিপস প্রসিডিউর যদি আমরা করতে পারি, তাহলে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তিনি ৯০/১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন।’

ডা. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘তার জন্য জীবন-মৃত্যু এখন একটা খেলা। আমরা কোনো কোনো সময় হতাশ হয়ে যাই- এই বুঝি তার সময় শেষ হলো। তার জন্য জরুরি হলো বিদেশে নেওয়া। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা হলে তার জীবনমান ভালো হবে।’

খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এটা গবেষণার বিষয়।’

৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সূত্র : সমকাল