খালেদার চিকিৎসা নিয়ে শেখ হাসিনা: সময় হয়ে গেছে, কান্নাকাটি করে লাভ নেই

 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্থানীয় সময় সোমবার লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় বলতে পারেন? কোনো দেশে পাঠায়? তারা এটা দাবি করে। আমাদের কেউ কেউ আতেল আছে। তারা বলে, একটু কি সহানুভূতি দেখাতে পারেন না! সে এভারকেয়ার, বাংলাদেশের সবথেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়সতো ৮০’র উপরে । …সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এতো কান্নাকাটি করে লাভ নাই।  স্যাংশনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আপনাদেরও বলবো, স্যাংশন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই তো এই ক্যান্টনমেন্ট। আমি এই ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেদিন সুযোগ পাবো এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি শুধু বললাম আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন তো আমাদের বাসায় যেয়ে কান্নাকাটি করতা। আমি তারপরও আজকে তাকে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি।

বৃটেনে স্থানীয় সময় সোমবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, তার ছেলে কোকো মারা গেছে। সে যখন আমার বাবা-মা, ভাই-বোনের মৃত্যু দিবসে উৎসব করে, কিন্তু আমিতো মানুষ, আমিতো একজন মা। আমি ভাবলাম আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সব মানুষের ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি যাবো খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাবো। আমার তরফ থেকে মিলিটারি সেক্রেটারি যোগাযোগ করলো। সময় ঠিক হলো।

যেই গুলশানে যেখানে ছিলো, সেখানে গেছি। আমাকে মুখের সামনে তালা মেরে দিলো, আমাকে ঢুকতে দিলো না। কতো বড় অপমান আপনারা চিন্তা করেন। আজকে অন্যকোনো প্রধানমন্ত্রী হলে কী করতো? কী করতো আপনারা চিন্তা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে ঢুকতে দিলো না। আমি শুধু বললাম, আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন আমাদের বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করতা। আমার বাবার বদৌলতে তুমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছো। না হলে বহু আগেই জিয়া ছেড়ে দিয়েছিল। জিয়ার আবার নতুন গার্লফ্রেন্ডও ছিল। তাকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার সংসারটা রক্ষা করে দিয়েছিলো আমার বাবা। আমাদের বাসায় গিয়ে তো মোড়া পেতে বসে থাকতো। সেখানে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে কতোবড় অপমান করেছো। আমি কিচ্ছু বলি নাই। আমার বলার কিছু নাই। আমি দেখতে পাচ্ছি ভিতরে তাদের সব নেতা। আমি দেখতে পাচ্ছি গেটে তালা, কিছু করার নেই তাদের।