খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় ৩ মামলা পুলিশের, আসামি

logo

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

(১ ঘন্টা আগে) ২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ২:১৩ অপরাহ্ন

mzamin

facebook sharing button

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ঘিরে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় একটি এবং গুইমারা উপজেলায় ৩ জনকে হত্যা ও ১৪৪ ভঙ্গ করে সহিংসতা করায় আরও একটি মামলা করা হয়। এতে অজ্ঞাত ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি। শহর ও উপ-শহরগুলোতে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সকল যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। তবে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অস্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। দুষ্কৃতকারী শনাক্তে চেকিং করা হচ্ছে সবাইকে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নেব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।’

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘অবরোধ না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনো ১৪৪ জারি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতির ওপর নির্ভর করে ১৪৪ ধারাও প্রত্যাহার করা হবে। পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে শয়ন শীল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। পরে গত মঙ্গলবার রাতে অবরোধ তুলে নেয়। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের।