- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:১১
দেশাবন্দু মুত্তিয়া মুরালিধরন, নামটা শোনা মাত্রই বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরাও পিলে চমকে উঠেন। উঠবেই না বা কেন? যে মরণ ঘূর্ণি তিনি দেখিয়েছিলেন ২২ গজে, তা আগামী প্রজন্মও অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য।
বিস্ময় জাগানো বোলিং আর ভয়াল অ্যাকশনে নিজেকে নিয়ে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরার কাতারে, অনন্য উচ্চতায়। ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম রিস্ট-স্পিনিং অফ স্পিনার। এছাড়াও স্বীয় ভাণ্ডারে ছিল দারুণ বৈচিত্র্যময়, অফ ব্রেক ছাড়াও টপ স্পিন ও দুসরার সমন্বয়।
সাধারণত রিস্ট স্পিনাররা যেখানে লেগ স্পিনার হয়ে থাকে, সেখানে এমন বিরল বৈচিত্র্য ক্রমশ তাকে রহস্যময় স্পিনারে পরিণত করে। ঘূর্ণিতে ব্যাটসম্যানদের খাবি খাওয়ানো এ স্পিনারের শুরুটা অবশ্য ছিলো মিডিয়াম পেসারের ভূমিকায়। অতঃপর ১৪ বছর বয়সে কোচের পরামর্শক্রমে তিনি স্পিনের দীক্ষা নেন।
এক নজরে মুরালিধরনের ক্যারিয়ার :
– এক হাজার ৩৪৭ আন্তর্জাতিক উইকেট।
– টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৮০০)।
– ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৫৩৪)।
– ৬০ বার চার উইকেট।
– ৭৭ বার পাঁচ উইকেট।
– ২২ বার ম্যাচে দশ উইকেট (টেস্ট)।
– ৯/৫১ সেরা বোলিং ফিগার।
এগুলো তো শুধুই একটা পরিসংখ্যান, কিছু সংখ্যা। এমন আরো অসংখ্য কৃর্তীর জন্ম দিয়েছেন ক্রিকেটের এই বিস্ময়, রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের গৌরবময় স্মৃতিও। শুরুটা দুল্যমান হলেও বাকি সময়টা শুধুই অর্জনের। যার গর্জন ছিল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
এমন কিংবদন্তী অহরহ জন্ম নেয় না, শত বছর বা হাজার বছরে একজন দেখা দেয়। তেমনটি দেখা দিয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল। শুভ জন্মদিন মুরালি।