সম্প্রতি, “RAB-7 এর তৎকালীন সিও হাসিনুর রহমানের নির্দেশে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দিন মহিমকে ২০০৪ সালে ২৮ নভেম্বর ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়।” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দাবি করা হয়, ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বরে ছাত্রলীগ নেতা মহিম ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় র্যাব-৭ এর সিও বা কমান্ডিং অফিসার ছিলেন হাসিনুর রহমান।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীন মহিম কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ক্রসফায়ারে নিহতের সময় র্যাব-৭ এর সিও বা কমান্ডিং অফিসার হিসেবে হাসিনুর রহমান নয় বরং সেসময় র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী এমদাদুল হক।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে, দেশীয় মূলধারার ইংরেজি গণমাধ্যম The Daily Star এর আর্কাইভ থেকে ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর “BCL central leader, two others killed in ‘crossfire’” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
“Mohimuddim Mohim, assistant library secretary of the BCL, was killed in ‘crossfire’ with Rab at Chandanaish in Chittagong last night.
Rab arrested Mohimat Chittagong international airport in the evening. The elite force took him out in search of illegal arms and was killed in ‘crossfire’ when Mohim’s groups attacked Rab.”
অর্থাৎ, প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ক্রসফায়ারে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীন মহিম।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে, ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দ্যা ডেইলি স্টারে “Eight bullets put end to Ahmudya episode BNP men barricaded road to Cox’s Bazar in protest” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে র্যাবের চিটাগং ইউনিট (RAB -7) এর কমান্ডার হিসেবে Lieutenant Colonel Kazi Emdadul Haq এর নাম খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,
“At least eight bullets pierced the body of Ahmadul Haq Chowdhury alias Ahmudya, district’s top terror, who reportedly died in a shootout with a Rapid Action Battalion (Rab) team on Friday night, said a morgue employee.
We have information and proof that Ahmudya stood accused of at least 100 murders over the years in the district,” Rab’s Chittagong unit Commander Lieutenant Colonel Kazi Emdadul Haq told journalists yesterday at his office in Patenga.”
অর্থাৎ, এখান থেকে জানা যাচ্ছে Ahamaidya বাহিনীর প্রধান Ahamaidya ক্রসফায়ারে নিহত হন ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে এবং সে সময় র্যাব- ৭ এর কমান্ডিং অফিসার কাজী এমদাদুল হক।
Bdnews24 এর ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়,
“র্যাব-৭ এর প্রাক্তন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বর্তমানে কর্নেল) কাজী এমদাদুল হক ক্রসফায়ারের সাতটি ঘটনার নেতৃত্ব দেন যাতে চট্টগ্রামে Ahamaidya বাহিনীর প্রধান Ahamaidya-ও নিহত হয়।”
পরবর্তীতে অনুসন্ধানে “Rab-Bdr Joint Drive in Naikhanchhari Forest” শিরোনামে ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,
“Rapid Action Battalion (Rab) and Bangladesh Rifles (BDR) in a joint drive recovered 20 AK47 rifles and 7,716 bullets from a deep forest of Naikhangchhari in Bandarban on Thursday.
On information that indigenous criminals have hoarded sophisticated arms and ammunition in Naikhangchhari, two Rab squads led by Lt Col Hasinur Rahman, commanding officer of Rajshahi Rab-5, arrived in Chittagong in the early hours Thursday.”
“বৃহস্পতিবার বান্দরবনের নাইখংছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) যৌথ অভিযানে ২০টি একে৪৭ রাইফেল ও ৭ হাজার ৭১৬টি গুলি উদ্ধার করেছে। নাইখংছড়িতে দেশীয় অপরাধীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করেছে এমন তথ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি র্যাব স্কোয়াড চট্টগ্রামে আসে।”
অর্থাৎ, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টম্বরের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় হাসিনুর রহমান র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন এবং তিনি এ সময় পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বান্দরবনে এসে একটি অভিযান পরিচালনা করেন।
একই প্রতিবেদনের নিচের অংশ থেকে পাওয়া যায়,
“Talking to reporters, Rab-7 Commanding Officer Lt Col Quazi Emdadul Haq said the arms cache might have been smuggled into the country by tribal criminals from neighbouring Myanmar, China or any other country.”
“সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী এমদাদুল হক বলেন, অস্ত্রের মজুদ হয়তো প্রতিবেশী মিয়ানমার, চীন বা অন্য কোনো দেশ থেকে উপজাতীয় অপরাধীরা দেশে পাচার করেছে।”
অর্থাৎ, ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যৌথ অভিযান নিয়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সময়ও র্যাব-৭ এর কমান্ডার ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমদাদুল হক।
সুতরাং, লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী এমদাদুল হক অন্তত ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে Ahamaidya বাহিনীর প্রধান Ahamaidya এর ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় থেকে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ে পরিচালিত এই যৌথ অভিযানের পুরো সময়টায় র্যাব-৭ এর কমান্ডার হিসেবে ছিলেন।
২০০৫ সালের জুনে প্রকাশিত ডেইলি স্টারের অপর একটি প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে কাজী এমদাদুল হক কে ২০০৫ সালের জুনেও র্যাবের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, ২০০৪ সালের নভেম্বরে ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দিন মহিম ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় র্যাব-৭ এর কমান্ডার ছিলেন কাজী এমদাদুল হক।
এদিকে ডেইলি স্টারের ২ জানুয়ারি ২০০৪ এবং ৪ ডিসেম্বর ২০০৪ সালের দুটি ভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান উক্ত সময়ে ৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (নাইখংছড়ি) বিডিআর এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর ডেইলি স্টারের অপর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও হাসিনুর রহমান কে ৪০ নাইখং ব্যাটালিয়ন বিডিআর এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীন মহিম ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর যখন নিহত হন তখন হাসিনুর রহমান বিজিবি বা তৎকালীন বিডিআর এ কর্মরত ছিলেন।
আবার ৩ নভেম্বর ২০০৫ এর ডেইলি স্টার এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার হাসিনুর রহমান।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যখন র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার হাসিনুর রহমান তখন র্যাব-৭ এ কমান্ডিং অফিসার ছিলেন এমদাদুল হক এবং পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বরের মাঝে হাসিনুর রহমান যেকোন এক সময় র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন।
উপরের বিষয়গুলোর একটি সারাংশ করলে পাওয়া যায়-
হাসিনুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দিন মহিমের ক্রসফায়ারের সময় নাইখংছড়ি ৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নে বিডিআর এ কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবেও কিছুদিন ছিলেন এবং তারপর ২০০৫ সালে র্যাব-৭ এ যুক্ত হওয়ার পর র্যাব থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগ অব্দি র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন।
চ্যানেল আই অনলাইন এর ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন এবং মানবজমিনের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন থেকেও এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিবেদন দুটি থেকে জানা যায়,
“হাসিনুর রহমান এক সময় র্যাব-৫ ও র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিজিবিতেও বেশকিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন।”
বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য আমরা র্যাব-৫ এর ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে প্রাক্তন অফিসার প্রধানগণের তালিকা পাই। উক্ত তালিকায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান এর নাম তৃতীয় স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়।
আবার VOA বাংলা এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “হাসিনুর রহমান ২০১০ সালে চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক থাকা কালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জের ধরে তাকে ওই সময় আটক করা হয়। পরে হাসিনুরকে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হলে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে।”
যেহেতু র্যাব ইউনিটে হাসিনুর রহমান এর সর্বশেষ কর্মস্থল র্যাব-৭ সেহেতু এ থেকে বোঝা যায় হাসিনুর রহমান র্যাব-৭ এর আগে র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও, হিউম্যান রাইট ওয়াচের ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে “Torture and Extrajudicial Killings by Bangladesh’s Elite Security Force” শিরোনামে সেসময়ের র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সেই রিপোর্টের বিস্তারিত অংশে ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীন সহ সেসময়ে র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যার স্বীকার অনেক মানুষের নাম উঠে আসে।
এই ফ্যাক্টচেকের সুবিধার্থে সেই রিপোর্ট থেকে আমরা ইকবাল বাহার চৌধুরী ওরফে ইকবাইল্লা নামের চট্রগ্রামের এক স্থানীয় ছাত্রদল নেতার ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনাটি উল্লেখ করছি। ইকবাল বাহার চৌধুরী ২০০৪ সালে ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ মহিম উদ্দীন হত্যার দুদিন পর ক্রসফায়ারে নিহত হয়। সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৎকালীন র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার কাজী এমদাদুল হক এর একটি স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়, সেটি হলো-
“Iqbal was caught in the crossfire and died on the spot trying to escape from the cordon,” RAB-7 then-commander Lt. Col. Emdadul Haq said.”
অর্থাৎ, ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীন হত্যার দুদিন পরের র্যাব-৭ এর ক্রসফায়ার সংক্রান্ত ঘটনায় র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার বা সিও হিসেবে কাজী এমদাদুল হক এর নাম পাওয়া যায়।
অতএব, ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীনের ক্রসফায়ারে নিহত হয়ওয়ার সময় র্যাব-৭ এর সিও ছিলেন কাজী এমদাদুল হক।
মূলত, সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজে ‘আয়নাঘরের বন্দী: ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দীশালা শিরোনামে প্রকাশিত একটি ডকুমেন্টারিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানের সাক্ষাৎকারের পরেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিমের ক্রসফায়ারের সময় র্যাব-৭ এর তৎকালীন সিও হিসেবে হাসিনুর রহমান কে দাবি করে এই তথ্যটি প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, হাসিনুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা এবং তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসেও (বিডিআর) কর্মরত ছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ছিলেন। ২০১০ সালে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দন্ডিত হয়ে ৫ বছর সাজা ভোগ করে ২০১৪ সালে মুক্তি পান তিনি।
সুতরাং, ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর র্যাবের ক্রসফায়ারে ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দীনের নিহত হওয়ার সময় র্যাব-৭ এর সিও হাসিনুর রহমান ছিলেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
1. News about Mahim Crossfire – The Daily Star
2. News including Rab-7 CO Kazi Emdadaul Hoque, Sep 2004 – The Daily Star
3. News including Rab-7 CO Emdadul Hoque – Bdnews24.com
4. News including Rab-7 CO Emdadul & Rab-5 CO Hasinur, – The Daily Star
5. News including Rab-7 CO Emdadul in June, 2005. – The Daily Star
6. News including Hasinur as BDR in 24 November, 2004. – The Daily Star
7. News including Rab-7 CO Emdadul in June 2005. – The Daily Star
8. News on Hasinur in 2019-20 – Manab Zamin & Channel i9. Hasinur in Rab-5 Ex CO list – Rab 5 website