২৫ জুন ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠছে চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। গরীবের হক কোরবানীর চামড়া। অথচ, আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গরীবের হক লুটপাটে অপতৎপরতা চালায় প্রতি বছর। এবারো আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চামড়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার। কিন্তু এই মূল্য চামড়ার মালিক গরীবরা পাবে কি না, এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, কোরবানীর চামড়া দিয়ে অনেক কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা চলে বছর জুড়ে। মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান আসেন কোরবানীর চামড়া থেকে। কিন্তু আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে গত কয়েক বছর যাবত চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না মূল ভোক্তারা।
সরকারি সিদ্ধান্তে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাসি ও বকরীর দাম গতবারের মতোই প্রতি বর্গফুট পর্যায়ক্রমে ১৮-২০ এবং ১২-১৪ টাকা।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মূল্য নির্ধারণের কথা ঘোষণা করেছে টিপু মুন্সি।
গতবছর রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করে হয়েছিল। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।