সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত হয় ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে। এসব ব্যাংক যাতে আর্থিক প্রতিবেদনে বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ দেখাতে পারে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখাতে না হয়, সে জন্য বিশেষ ধার দেওয়া হয়েছে। সাধারণত কোনো ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে পড়লে বিনিয়োগ করা ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য ব্যাংক থেকে ধার নেয়। তবে সাতটি ব্যাংকের পর্যাপ্ত সিকিউরিটিজ না থাকায় বিশেষ উপায়ে তিন দিনের জন্য ধার দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার আবার এসব ধার সমন্বয়ের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ১৪টি ব্যাংক এক দিন মেয়াদে ৭ হাজার ৯৪৮ কোটি, একটি ব্যাংক তিন দিন মেয়াদে ৪০৩ কোটি, ১৭ ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য ৮ হাজার ১১৮ কোটি এবং একটি ব্যাংক ১৪ দিন মেয়াদে ৭৫০ কোটি টাকা ধার করে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকগুলোর স্বল্প মেয়াদি ধারের স্থিতি রয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ব্যাংকে এখন তারল্যের ওপর চাপ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও ধার বেড়েছে। এ কারণে কলমানির সুদহারও অনেক বেড়েছে।
সমকাল