কভিড-পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে দুই বছর আগে বেশকিছু প্রক্ষেপণ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সেসব প্রক্ষেপণ ও বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে দুই পর্বের ধারাবাহিক— প্রথম পর্ব
কভিড-পরবর্তী দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পূর্বাভাস নিয়ে ২০২১ সালের মার্চে একটি বিশেষ প্রকাশনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২২ ও ২০২৩ সালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১০ বিলিয়ন ডলার করে যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে ২০২৩ সাল শেষে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সে প্রক্ষেপণ বাস্তব রূপ পায়নি। উল্টো ক্ষয় হতে হতে রিজার্ভ এখন নেমে এসেছে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
‘ইকোনমিক অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ইমপ্লিকেশনস অব কভিড-১৯: বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যান্ড গভর্নমেন্টস পলিসি রেসপন্স’ শীর্ষক বিশেষ ওই প্রকাশনায় পরবর্তী দুই বছরে রিজার্ভ নিয়ে প্রক্ষেপণ তুলে ধরা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ২০২১ সাল শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৪ হাজার ৯৫৯ কোটি বা ৪৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। এর পরের বছর ২০২২ সাল শেষে তা উন্নীত হবে ৫৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৩ সাল শেষে এটি আরো বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।
বিশেষ ওই প্রকাশনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘২০২০ সালে কভিডের মধ্যেও রিজার্ভের আকার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয় ও বিদেশী ঋণের উচ্চপ্রবাহ। আমদানিতে অর্থ পরিশোধ হ্রাস ও ধীরগতির বিপরীতে রফতানি পুনরুদ্ধারের কারণেও রিজার্ভে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক কিসের ভিত্তিতে রিজার্ভের প্রক্ষেপণ দিয়েছিল, সেটি বোধগম্য নয় বলে জানান বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘যে গবেষণার ভিত্তিতে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছিল, সেটির পদ্ধতি সঠিক ছিল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। আমার মনে হয় না, এসব গবেষণার আদৌ কোনো গুরুত্ব আছে। গত দুই বছর দেশের অর্থনীতিতে যেসব অঘটন ঘটেছে, সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকদের ভাবনারও বাইরে ছিল। অর্থনৈতিক দুর্যোগ যখন-তখন আসতে পারে। এটি সব সময় পূর্বাভাস দিয়ে হয় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, অর্থনীতি এতটা নাজুক হলো কেন? যেকোনো দেশের অর্থনীতির দুর্যোগ মোকাবেলার নিজস্ব কিছু শক্তি থাকে। আমাদের সেসব শক্তি গেল কোথায়? তার মানে আমাদের অর্থনীতি অভিঘাত সহ্য করার উপযুক্ত হয়ে বেড়ে ওঠেনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল নীতিকেই রিজার্ভ ক্ষয়ের পেছনের কারণ হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এ অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর কৃত্রিমভাবে ডলারের বিনিময় হার বেঁধে রাখা হয়েছিল। রিজার্ভ যখন শক্তিশালী ছিল, তখন বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে পারত। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ক্রমাগতভাবে ডলার বিক্রি করে টাকার মান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এভাবে চলতে থাকলে রিজার্ভের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। সংকট এত বেশি বেড়েছে যে এখন এক দিকে বাঁধ দিলে অন্য দিক শুকিয়ে যাচ্ছে।’
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী, ওই সময় রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় রিজার্ভের ক্ষয়। গত দুই বছরে প্রতি মাসে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ১৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলোর আমদানি দায় পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে রিজার্ভ থেকে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েও রিজার্ভের ক্ষয় বাড়ছে। আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩০-১৪০ কোটি ডলারের এলসি দায় পরিশোধ করতে হবে। তখন এক ধাক্কায় রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসবে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস তথা জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণপ্রাপ্তির শর্ত হিসেবে এটি অনুসরণ করা হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে আইএমএফের সদস্য দেশগুলো ব্যালান্স অব পেমেন্টস এবং ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাবায়ন করে আসছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তা শুরু করতে সময় নিয়েছে প্রায় এক যুগ। বিপিএম৬ মূলনীতি অনুযায়ী হিসাব করা রিজার্ভও বাংলাদেশের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ নয়। নিট রিজার্ভ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে আইএমএফ থেকে নেয়া এসডিআরসহ স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু দায় বাদ দেয়া হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী, ১৮ অক্টোবর রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে।
রিজার্ভের প্রক্ষেপণ আর বাস্তবতার বিপরীতমুখিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে, কেউ যদি সেটি আগেই জানত তাহলে অর্থনীতি পড়ার প্রয়োজন হতো না। ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পাই না, এজন্যই অর্থনীতি আর অর্থনীতিবিদের প্রয়োজন হয়। যখন রিজার্ভের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল না। অর্থনীতির যেকোনো দিক নিয়ে যখন প্রক্ষেপণ করা হয়, তখন তা করা হয় কতগুলো অনুমানের ওপর ভিত্তি করে। সে অনুমানগুলো সত্য না হলে প্রক্ষেপণ ভুল হবে, সেটিই স্বাভাবিক। দুই বছর আগে যেসব অনুমানের ওপর ভিত্তি করে রিজার্ভের বিষয়ে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল, সেগুলো ঘটেনি। এ কারণে রিজার্ভ না বেড়ে কমে গেছে।’
রিজার্ভের অস্বাভাবিক ক্ষয়ের জন্য কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যেই উঠে এসেছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয়ের সূচনা হয়েছিল ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ছয় মাস আগে। এর শুরু হয় রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির মাধ্যমে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। আর ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেবল ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাড়ে তিন মাসেই রিজার্ভ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করতে হয়েছে। মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) দায় ও বিদেশী ঋণ পরিশোধের জন্য এ ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলার সংকট কমাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আমদানির লাগাম টেনে ধরেছিল। এজন্য এলসি খোলার শর্ত কঠোর করা হয়। ব্যাংকগুলোও ডলার সংকটের কারণে নিজেদের এলসি খোলা কমিয়ে দেয়। ফলে অর্থবছর শেষে আমদানির পরিমাণ প্রায় ১৬ শতাংশ কমে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) আমদানির পরিমাণ ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির এলসিও খুলতে পারছে না। আবার দেশের অনেক ব্যাংক এখনো নির্দিষ্ট সময়ে এলসি দায় পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে।
আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেও ডলার সংকট কাটানোর চেষ্টায় সফল হতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের বড় বিপর্যয় সম্প্রতি এ সংকটকে আরো উসকে দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ডলার, যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণেই রেমিট্যান্সের বড় পতন হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। চলতি অক্টোবরের শুরু থেকে ডলারের দর নিয়ে আবারো উদার নীতি গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৫ কোটি ডলারের।
তবে দেশে যে পরিমাণ ডলার ঢুকছে, এখনো তার চেয়ে বেশি পরিমাণে বেরিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক হিসাব। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ঘাটতি ছিল ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই (জুলাই-আগস্ট) ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ঘাটতি ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ কারণে ডলারের সংকট কিংবা রিজার্ভের ক্ষয় শিগগিরই কমে আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতিবিদদের সুপারিশ উপেক্ষা করে গত এক দশক ডলারের বিপরীতে টাকার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের শুরুতেও দেশে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকগুলোয়ই প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। এ সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে স্বল্প সময়ে টাকার এত বড় অবমূল্যায়ন এর আগে কখনো দেখা যায়নি। বর্তমানে দেশের খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলার ১১৯-১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
রিজার্ভের ক্ষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই বছর আগে বিশ্ববাজারে কম সুদে ঋণ পাওয়া যেত। আমদানি একেবারেই কমে গিয়েছিল। আমদানি দায়ও পরিশোধ করতে হয়নি। বিপরীতে রেমিট্যান্সে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। বিদেশযাত্রা বন্ধ থাকায় ডলারের ওপর তেমন কোনো চাপও ছিল না। এ কারণে কোনো কিছু না করেই সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক দেখল, অর্থনীতি আকাশে উড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘সে সময় রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ থেকে বেড়ে এক ধাক্কায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠে যায়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করেছিল, রিজার্ভ বাড়তেই থাকবে। রিজার্ভ থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তখন আমাদের মতো মানুষগুলো সংযত হওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা? দুই বছর পর এখন দেখা যাচ্ছে, সব জায়গায় হাহাকার। আসলে সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে অর্থনীতি কখনই টেকসই হয় না।’
বনিক বার্তা