‘কেএনএফ’ সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা

  • ড. এ কে এম মাকসুদুল হক

গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২ এপ্রিল সন্ধ্যারাতে রুমাতে সোনালী ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি বাজারে সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকে ‘কেএনএফ’ ডাকাতি করে। রুমা ব্যাংক থেকে কোনো টাকা নিতে না পারলেও থানচির দু’টি ব্যাংক থেকে ১৭ লাখ টাকা লুট করতে সমর্থ হয়। আর রমা থেকে টাকা নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়। কেএনএফ কর্তৃক হঠাৎ এই সন্ত্রাসী তৎপরতার ঘটনা বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

আমাদের ব্যর্থতা কোথায়: কেএনএফের মতো একটি উদীয়মান সন্ত্রাসী সংগঠন এ ধরনের অপকর্ম করতে পারার প্রথম ব্যর্থতা হলো আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে প্রথমেই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে গোয়েন্দা জালকে।

সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দু’টি উপজেলা সদরে এমন ঘটনা ঘটল অথচ কোনো আগাম বার্তা বা সতর্কতা আমরা পেলাম না তা একটি অমার্জনীয় ব্যর্থতা হয়েছে। অথচ বর্তমানে পুরো পাহাড়ি অঞ্চলই সিগন্যাল যোগাযোগের নেটওয়ার্কের আওতাধীন রয়েছে। কাজেই কিভাবে কেএনএফ আমাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এড়িয়ে এই সফল অভিযান সম্পন্ন করতে পারল তা আমাদের বোধগম্য নয়। আর ঘটনার ধারাবাহিকতা আরো অবাক করার মতো!

ব্যাংক ম্যানেজারকে সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে ব্যাংক খুলে ব্যাংকে প্রবেশ, প্রহরারত আনসার ও পুলিশের অস্ত্রলুট এবং পরবর্তী ১৬ ঘন্টার মধ্যে থানচি উপজেলা সদরের বাজারে দিন-দুপুরে দু’টি ব্যাংক লুট কিভাবে সম্ভব হতে পারল? এখানে স্পষ্টতই সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা পুলিশের কাছে এ ধরনের কোনো সতর্ক অবস্থান বা ফোকাস ছিল না। এতে তাদের প্রশিক্ষণের ঘাটতিও প্রতিফলিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান। থানচি থানা থেকে মাত্র ১০০ গজের মধ্যে ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসী অপারেশন দ্রুত সম্পন্ন করলেও দু’টি ব্যাংক লুট করতে যতটুকু সময় দরকার, এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সেই সময়টি যথেষ্ট ছিল সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। সন্ত্রাসীরা স্থানীয় চারচাকার গাড়ি অর্থাৎ চান্দের গাড়ি ব্যবহার করেছে। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বলে দাবি করেছে। কিন্তু এরপর কোনো ফলোআপ ছিল না বা কেএনএফকে নজরদারিতে রাখা হয়নি বলে মনে হয়। অর্থাৎ এমন একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের অপতৎপরতাকে আমরা তুচ্ছভাবে নিয়েছিলাম। এটি ছিল আমাদের কৌশলগত আত্মঘাতী ভুল। অথবা আমরা কেএনএফের সাথে সংশ্লিষ্ট শুধু ‘আল শারকিইয়া’ জঙ্গি গোষ্ঠীর আবিষ্কার ও ধ্বংস সাধনকেই যথেষ্ট মনে করেছিলাম। অন্যদিকে পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমিয়ে ফেলাও একটি বড় কারণ ছিল এই ব্যর্থতার। ১৯৯৭ সালে শান্তিবাহিনীর সাথে সম্পাদিত শান্তিচুক্তির পর সেনাস্থাপনাসমূহ কমিয়ে আনাতে গহিন পাহাড় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে চলেছে বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে কেএনএফ সেখানে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধ করতে করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার মতো সাহস সঞ্চয় করছে।

কেএনএফের উদ্দেশ্য কী ছিল: কেএনএফ ‘সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ সময়’ উভয় প্রকার উদ্দেশ্য নিয়ে এই সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা করেছে। ‘শটটার্ম’ বা আশু উদ্দেশ্য ছিল মূলত ‘Demonstrative’ বা প্রদর্শনমূলক সন্ত্রাস। এর মাধ্যমে তারা শক্তি প্রদর্শন করে সংগঠনে নতুন তরুণদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছিল দলে ভেড়ানোর উদ্দেশে। অর্থ সংগ্রহ ছিল তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্য থাকার কারণেই হয়তোবা ব্যাংক ম্যানেজারকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিয়েছে। নিজেদের সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিও তাদের একটি উদ্দেশ্য ছিল। তারা নিরাপত্তাবাহিনীর কাছ থেকে দুটো এসএমজি এবং ১২টি চাইনিজ রাইফেল লুট করে নিয়ে যায়। তা ছাড়া বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ক্রয়ের জন্য কেএনএফের অর্থ খুবই প্রয়োজন ছিল। লুট করে নেয়া এবং মিয়ানমার আর্মির পরিত্যক্ত অস্ত্র ক্রয়ের মাধ্যমে তারা মনে হচ্ছে অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলতে চাইছে। জানা যায়, ইতোমধ্যে কেএনএফের মধ্যে গ্রপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই লুটের মাধ্যমে কেএনএফ তার বিদ্রোহী গ্রপের চেয়ে নিজেদেরকে শক্তিশালী প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়েছে যেন সাধারণ ‘বম’ জনগণ তাদের উপরেই আস্থা রাখতে পারে। তবে ‘কেএনএফে’র লংটার্ম বা মূল উদ্দেশ্য হলো রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবানের নয়য়টি উপজেলা নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করা

কেএনএফের উৎপত্তি ও বিকাশ: নাথান বম নামে জনৈক উচ্চাভিলাষী ও বেকার যুবক কেএনএফকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একজন গ্র্যাজুয়েট। ছাত্রজীবন শেষ করে পাহাড়ে ফিরে যান। সেখানে তিনি ‘UNDP’ এর একটি প্রজেক্টে কাজ করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে কিছু চাকমা যুবক চাকরি পেলেও তিনি ব্যর্থ হলে তার মনে ক্ষোভ জন্মে। এমনিতেই শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ের ‘চাকমা’ জাতিগোষ্ঠী বেশি লাভবান হলেও ‘বম’ জাতিগোষ্ঠীর খুব একটা লাভ হয়নি। তা ছাড়া পাহাড়ে চাকমারা বেশি প্রভাবশালী হওয়ায় পুরো বমদের মধ্যে আগে থেকেই ক্ষোভ বিরাজ করছিল। ইতোমধ্যে ‘নাথান বম’ এলাকায় কিছু ব্যবসায় করার চেষ্টা করলেও খুব ভালো কিছু করতে পারেননি। এ সময় তিনি ধর্মীয় পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং মিজোরামে কিছু খ্রিষ্টান নেতার সাথে তার যোগাযোগ ঘটে। তাদের মাধ্যমে ‘নাথান রম’ ইউরোপ গমন করেন এবং বেশ কয়েক বছর সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তিনি পাহাড়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। উল্লেখ্য, ‘বম’ জাতিগোষ্ঠীর সবাই খ্রিখ্রষ্টধর্মাবলম্বী। নাথান বম এলাকায় ফিরে একটি এনজিও গড়ে তোলেন যার নাম ছিল ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (কেএনডিও)। এই ‘এনজিও’ এর মাধ্যমে তারা ‘বম’ জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করার চেষ্ট করেন। এর আড়ালে তিনি কর্মী সংগ্রহ করতেন বলে জানা যায়। এরপর ২০১৮ সালে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে তিনি মিয়ানমারের ‘চিন’ রাজ্যে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন বলে খবরে প্রকাশ (সাহা: প্রথম আলো) ২০২২ সালে ফিরে এসে নাথান এবং সঙ্গীরা এক ধর্মীয় পাস্তরকে তাদের এনজিও অফিসে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপর থেকে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি ফেসবুকে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা দেন এবং সশস্ত্র দলের ছবিসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। ‘বম’ জাতিগোষ্ঠীর অনেকের মতে- ‘নাথান বম’ এখন মিজোরামের লংটলাই জেলার মুনাউন গ্রামে থাকতেন। তবে কেএনএফ আমাদের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি করছে। শুরুতে তারা ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য নিয়ে সশস্ত্র দল গঠন করে। বর্তমানে তাদের সদস্য সংখ্যা সাত শতাধিক বলে জানা যায়। গত বছর তাদের চারটি হামলায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য নিহত হয়। গত দুই বছরে তারা মোট ৯টি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। গত বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এই কেএনএফ আপাতত নিষ্ক্রিয়তা দেখালেও সাম্প্রতিককালে ভারতের মনিপুরে ‘মেইতি-কুকি’ সংঘর্ষ এবং মিয়ানমারের ‘চিন’ প্রদেশে জান্তাবাহিনীর সাথে কুকিদের সংঘর্ষে সফলতার পর তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আঞ্চলিক ভূরাজনীতি আপাতদৃষ্টিতে এই কেএনএফের পেছনে কোনো স্পন্সর আছে কিনা জানা না গেলেও এই সঙ্গাতে অনেক সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকতে পারে। প্রথমত, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশের পাশে রাখাইন রাজ্যে জান্তাবাহিনীর একটি বড় সংখ্যক সৈনিক পলায়নের কারণে তাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো কালোবাজারে প্রবেশ করতে পারে। এই অস্ত্র ক্রয়ের জন্য এখানে বিদ্যমান ড্রাগ ট্রাফিকিং অনেক বেড়ে যাবে। অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের সংঘর্ষে আঞ্চলিক শক্তি চীনা স্পন্সররা জান্তা এবং বিদ্রোহী উভয়কেই অস্ত্র সরবরাহ করছে। ফলে এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্ত্র সরবরাহের ঘটনা ঘটছে যা চূড়ান্তভাবে কালোবাজারে প্রবেশ করবে। সেই অস্ত্র কেএনএফের হাতে পৌঁছে যাবে। এ জন্যই বোধ হয় তারা অর্থ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মার্কিনিদের মনোভাবে বোঝা যাচ্ছে, তারা চীনকে জব্দ করার জন্য এই এলাকাটায় যুদ্ধ চলুক, তা চাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা ‘বার্মা অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছে। কাজেই পরোক্ষভাবে হলেও মার্কিনিরা এখানে জড়িয়ে পড়তে পোড়া কারণ মার্কিনিরা যুগ যুগ ধরে ‘ঘর পোড়া আগুনে আলু সিদ্ধ’ করে খেয়ে আসছে। আবার বাংলাদেশকে বাগে রাখার জন্য যেকোনো শক্তি এই কেএনএফকে নিয়ে খেলতে পারে বা একটি বার্গেনিং টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধকে উপলক্ষ করে এই অঞ্চলে এখন অনেক বিদ্রোহী গ্রুপ সক্রীয় রয়েছে এদের কোনো গ্রপের সাথে কেএনএফের বন্ধুত্ব তাদের শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি করবে । আবার মিয়ানমারের কোনো রাজ্য বিদ্রোহীদের হাতে পদানত হলে তা কেএনএফকে আরোআত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সব মিলে কেএনএফের যেকোনো তৎপরতায় বাংলাদেশ রক্তাক্ত হবে। আমরা হয়তোবা আরো একটি দীর্ঘস্থায়ী কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারি।

সমাধান : ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কেএনএফ বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের পাশাপাশি বমদের জীবন-মানোন্নয়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হতে হবে। তবে গহিন পাহাড়ে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সরাসরি প্রভাব বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শান্তিচুক্তি পূর্ব অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। গহিন অঞ্চলের ক্যাম্পগুলো পুনরায় সক্রিয় করে তুলতে হবে।

এতে হয়তোবা মানবাধিকার গ্রুপগুলো সরব হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমরা নিজেরা মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে সতর্ক ও যত্নশীল থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপই গ্রহণ করতে হবে। আর তৃতীয় কোনো শক্তি বা দেশ যেন এই সংঙ্গাতে জড়িত না হতে পারে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপসমূহ অব্যাহত রাখতে হবে। তবে নাথান বমের হঠাৎ ধার্মিক হয়ে মিজোরামের খ্রিষ্টান গুরুদের সাথে শখ্য গড়ে তোলা এবং তাদের সহায়তায় ইউরোপ গমন; তারপর ইউরোপ থেকে ফিরে এসে প্রথমে এনজিও গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে কেএনএফ গঠন করা আমাদেরকে বেশ সন্দিগ্ধ করে তুলেছে। নাথান বমের বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে উঠতে এই পুরো প্রক্রিয়াটা সূক্ষ্মভাবে স্টাডি করার দাবি রাখে যেন কোনো ধর্মীয় উগ্রবাদ বা ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ আমাদের সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে না ফেলতে পারে। তা ছাড়া জনপ্রতি মোতাবেক, নাথান কমের বর্তমান অবস্থান যদি মিজোরামেই হয়ে থাকে তবে তা প্রতিবেশী দেশের সাথে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের
পথে এগোতে হবে।

nayadiganta