বিবিসি
বাংলাদেশে কুষ্টিয়ায় আজ প্রকাশ্যে গুলি করে নারী এবং শিশুসহ তিনজনকে হত্যার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন, যে ব্যক্তি গুলি করেছেন – তিনি পুলিশের একজন সদস্য, এবং তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর বেশি আর কিছু তিনি বলেননি।
দিনের আলোতে এভাবে তিনজনকে হত্যার এই ঘটনা কুষ্টিয়া শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
রোববার বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কাস্টমস মোড়ে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখা যায়, ঘটনার পরেই এক ব্যক্তিকে হাতকড়া এবং মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এর বেশি কোন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক আমানুর আমান বলছেন, সেখানে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে নিহত তিনজনকে অন্য আরো কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
”একপর্যায়ে তারা দুইদিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ছয় বছরের ছোট বাচ্চাকে নিয়ে পুরুষ লোকটি দৌড়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাচ্চাটিকে বের করে এনে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে চারটি গুলি করা হয়। এরপর কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে গুলি করে অস্ত্রধারী ব্যক্তি।”
”শিশুটির মা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন তাকেও গুলি করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।” বলছেন মি. আমান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এই তিনজনকে একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
তবে ভিন্ন এক সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, এই তিনজন একই পরিবারের সদস্য নাও হতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত বিবিসির তরফ থেকে বিষয়টিকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলছেন, ”আমরা তদন্ত শুরু করেছি, ঘটনাস্থলেই রয়েছি। তবে কেন এই ঘটনা ঘটেছে এখনো জানা যায়নি।”
তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় অন্তত চারজন হামলাকারী ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন।
পুলিশ সন্দেহভাজন হিসাবে তাদের একজনকে আটক করে ।