খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, খুলনা ও কুয়েটের কিছু মানুষরূপী কুকুরের কামড়া-কামড়ি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মসূচি থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করল।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ভাষাগত নিয়ন্ত্রণ পুরা না হারিয়ে বলতে চাই খুলনা ও কুয়েটের কিছু কুকুর সমতুল্য দুর্বৃত্তের কারণে বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আন্দোলন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে তিস্তা বেষ্টিত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার এগারোটি স্থানে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি থেকে জাতীয় পর্যায়ে যে জাগরণ সৃষ্টি হওয়ার উচিত ছিল, সেটিকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।’
পোস্টে ইশরাক লেখেন, ‘ভারতের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের কারণে কয়েক দশক ধরে দুই কোটি জনগণের আহাজারি নিরসনের এই কর্মসূচি কয়েকটি মানুষরূপী কুকুরের কামড়া-কামড়িতে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করল।’
ইশরাকের ভাষ্য, ‘কুকুরগুলো কোন দল করে জানি না, প্রয়োজনও নেই। যারাই দোষী তাদেরকে খাঁচাবন্দি করার দায়িত্ব পুলিশের। তারা সেটি করতে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসাবেই গণ্য করতে হবে।’
এদিকে, কুয়েটে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধানে ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ও সোহেল রানাকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। বুধবার বেলা একটার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কুয়েটে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।