কুমিল্লা
পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে কুমিল্লার লাকসামে হামলায় আহত কুমিল্লা উত্তর জেলা ও মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয় দিয়ে কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার আখন্দ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ নেতা-কর্মীর মধ্যে ৮ জনকে বের করে দেওয়া হয়।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও আখন্দ হাসপাতালের চেয়ারম্যান কাজী তাহমিনা আক্তার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা গুজব ছাড়া কিছুই নয়। পুলিশ কেন এ কাজ করতে যাবে? আমার পুলিশের কোনো সদস্য এ কাজ করেননি।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুলাই দুপুরে নোয়াখালীতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে কুমিল্লার লাকসামে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে আখন্দ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সকাল নয়টার দিকে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, বিএনপির কর্মী জালাল আহমেদ ও আলাউদ্দিনের অবস্থা খারাপ থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তাঁদের হাসপাতালে থাকতে দেওয়া হয়।
আখন্দ জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান কাজী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘১৪ জুলাই থেকে মুরাদনগরের এই রোগীরা আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সকালে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একদল সদস্য এসে রোগীদের রিলিজ দিতে বলেন। আমরা তিনজন জরুরি রোগীকে রেখে বাকিদের রিলিজ দিই।’
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘সকালে হঠাৎ সাদাপোশাকধারী কিছু লোক এসে নিজেদের পুলিশ সদস্য দাবি করে আমাদের অসুস্থ নেতা-কর্মীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। তাঁরা ধমক দিয়ে তাঁদের হাসপাতালের দোতলা থেকে নিচতলায় নামিয়ে দেন। তাঁদের অনেকের শরীরে এখনো ঘা শুকায়নি। অনেকের জখম গুরুতর। তাঁদের সুচিকিৎসা প্রয়োজন। পুলিশের ভয়ে তাঁরা হাসপাতাল থেকে নেমে পাশের একটি শপিং মলে ঢোকেন। পরে আমরা তাঁদের উদ্ধার করি। বিনা অপরাধে মার খেলেন। এখন তাঁরা চিকিৎসাও নিতে পারবেন না। এটা কেমন কথা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’