বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন শীর্ষ নেতা কারাগারে। মামলার আসামি হয়ে দলটির বেশির ভাগ নেতা দিয়েছেন গাঢাকা। ২৮শে অক্টোবর সহিংসতার পর থেকেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির নয়াপল্টনের এই তালাবদ্ধ কার্যালয়েই চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিবসহ দলের দুজন প্রতিনিধিকে। বুধবার এ চিঠি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম। তিনি বলেন, বিএনপির চিঠি পাঠানো হয়েছে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায়।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানবজমিনকে বলেছেন, চিঠিটা কে নিলেন? কারণ নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ে কেউ নাই। কার্যালয়ের দারোয়ানও নেই।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের মূল অংশীজন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার অয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানটি নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। সভায় আপনার দলের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা আপনাদের কর্তৃক মনোনীত দুজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আগামী শনিবার ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ২২টি দলকে সকালে এবং বিএনপিসহ ২২টি দলকে বিকেলে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪২টি মামলা হয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এলাকা পুলিশ ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে সোমবার পর্যন্ত ঘেরাও করে রেখেছিল। মঙ্গলবার তা সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও কার্যালয়ের সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকে।
মানব জমিন