- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ০৮ আগস্ট ২০২০
ওসি প্রদীপের দায়ের করা মামলায় এই মুহূর্তে কক্সবাজার কারাগারে সাজা ভোগ করছেন অনেকে।
এসব আসামি যখন জানতে পারেন, এবার হত্যা মামলার আসামি হয়ে ওসি প্রদীপই আসছেন এই কারাগারে তখন তারা উল্লাস করতে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে নানা টিপ্পনি ও স্লোগান দিতে থাকেন।
টেকনাফ থানার ইয়াবা কারবারি এবং ইয়াবা কারবারির অভিযোগে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুকারী পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
ওসি প্রদীপকে কারাগারে ঢুকতে হচ্ছে, এমন খবরটি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে কক্সবাজারের কারাগারের ভেতর। সেই থেকে কারাগারে আটক থাকা ইয়াবা কারবারি এবং ইয়াবা কারবারির তকমা নিয়ে যারা আটক রয়েছেন তারা সবাই ক্ষীপ্ত হয়ে পড়েন।
সপ্তাহে একদিন করে কারাগারে আটক বন্দী নিজের পরিজনের সাথে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের রুমালির ছড়া এলাকার এক কারাবন্দী পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করতে গিয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, কারাভ্যন্তরে টেকনাফ উপজেলার আটক লোকজন ছাড়াও অন্যান্য এলাকার বন্দীরাও ওসি প্রদীপের ওপর ক্ষীপ্ত রয়েছেন।
কারাগারে আটক শত শত ক্ষুব্ধ বন্দী অধীর অপেক্ষায় ছিলেন সন্ধ্যা অবধি ওসি প্রদীপের কারাগারে ঢুকার দৃশ্যটি অবলোকন করতে। কিন্তু তাদের সেই শখ পূরণ হয়নি আদালতের কার্যক্রম সারতে দেরি হওয়ার কারণে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরেই আদালত থেকে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে নিয়মানুযায়ী কারাগারের সবগুলো ওয়ার্ড বন্ধ হয়েছিল।
এ দিকে কারাভ্যন্তরে বন্দীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করে কারা কর্তৃপক্ষ মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ আসামিকে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই কারাগারের ভেতর থাকা আটক লোকজন ওসি প্রদীপের নাম ধরে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। অনেকেই অশ্লীল বাক্যও ছুড়ে মারেন ওসি প্রদীপকে লক্ষ করে।
কারা কর্তৃপক্ষ কারাভ্যন্তরের এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সকাল থেকে ওসি প্রদীপসহ অন্যদের রাখা ওয়ার্ডে সতর্কতা অবস্থা নিয়েছে। সকাল থেকে বন্দীদের ওয়ার্ড থেকে বের হওয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, কারাভ্যন্তরে কোনো সমস্যা নেই, সব ঠিকঠাক রয়েছে।