- ২৪ ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি হয়েছে। রাত গভীর হলেও শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সন্ধ্যার পর থেকে শহরের দোকানপাট বন্ধ, জনসমাগম নেই বললেই চলে। যে কজন মানুষ রাস্তায় দেখা গেছে, তারাও আতঙ্ক নিয়ে বাড়িমুখো। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির টহল টিম।
পুলিশ জানায়, সারাদিনের সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলেও হামলাকারীরা এখনও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে বলে জানানো হয়।
দিনভর হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও নিহতের ঘটনার পর শহর রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। দুপুরে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এই কারফিউ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই শহরে উত্তেজনা তৈরি হয়। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষ। দুপুরে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা।
সমাবেশ শেষে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এনসিপির গাড়িবহরে ফের হামলা হয়। পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপি নেতারা। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান করে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিনের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।