কাজের সুযোগ হবে তো সার্টিফিকেট ধারী কোচদের

কাজের সুযোগ হবে তো সার্টিফিকেট ধারী কোচদের – নয়া দিগন্ত

গতবছর থেকে এএফসির কোচিং কনভেনশনের আওতাভ’ক্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফলে বাংলাদেশই এখন এএফসির ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স আয়োজন করছে। গতবছর ‘এ’ ‘বি’ লাইসেন্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয় বাফুফেতে। বাংলাদেশ সহ ভারত, শ্রীলংকা, ভুটান, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ার কোচরা এতে অংশ নেয়। পাশ করে ২৪ জন ‘এ’ লাইসেন্স এবং ২৩ জন ‘বি’ লাইসেন্স পান। পরীক্ষায় অংশ নেন বাংলাদেশের ৪৮ এবং বিদেশী ১০ জন।

সে লক্ষ্যে অবশ্য আরো আগ থেকেই কাজ শুরু করেছে বাফুফে। তা এএফসির চাপে পড়েই। তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এবং বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে এখন লাইসেন্সধারী কোচদের দায়িত্ব দেয়া বাধ্যতা মূলক। জাতীয় দলের কোচদেরও নির্দিষ্ট লাইসেন্স থাকার কড়াকড়ি আরোপ করেছে এএফসি। ফলে লাইসেন্সধারী কোচদের কাজের সুযোগ তৈরী হয়েছে। হতে শুরু করেছে তাদের মূল্যায়নও। এখন আরো ব্যাপকভাবে এই শিক্ষিত এবং লাইসেন্সধারী কোচদের কাজের সুযোগ এবং পরিবেশ দরকার। ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি পরিচালিত লিগে এখনও লাইসেন্স ধারী কোচের বালাই নেই। সার্টিফিকেট হীন এক কোচ একই সাথে এক লিগে দুই দলের দায়িত্বে। ফুটবলার তৈরীর এই লিগেও লাইসেন্সধারী কোচদের হেড কোচের দায়িত্ব নেয়াটা গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে সারা দেশে যে সব ফুটবল অ্যাকাডেমী আছে সেগুলোতেও লাইসেন্সধারী কোচ থাকতে হবে। কারণ সেখান থেকেই উঠে আসে সব প্রতিভারা।

লাইসেন্স পাওয়া বিকেএসপির কোচ শাহীনুল হক জানান, কোনো কোচকে উন্নতি করতে হলে এই কোর্সের কোনো বিকল্প নেই। কোর্স থেকে আমি যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা দেশের ফুটবল উন্নয়নে আরো সাহায্য করবে। একই বক্তব্য কোচ সালাউদ্দিনেরও।

বাফুফে সেক্রেটারী আবু নাইম সোহাগ জানান, আরো কিভাবে লাইসেন্সধারী কোচদের কাজে লাগানো যায় এ নিয়ে আমাদের বিভিন্ন কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে। যাতে সব পর্যায়েই লাইসেন্স ধারী কোচদের কাজের সুযোগ হয়।