কাঙ্ক্ষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা না পেয়ে প্রলাপ বকছেন মির্জা ফখরুল: ওবায়দুল কাদের

Prothom-Alo-logo | Design Works Group

বিশেষ প্রতিনিধি

ঢাকা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঙ্ক্ষিত নিষেধাজ্ঞা না পেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রলাপ বকছেন বলেন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের নিকট ধরনা দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের নিকট করুণা প্রার্থনা করছে।’

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ, তারা সব সময় সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।

মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরির অপচেষ্টা করে আসছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মূলত জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান ধ্বংস করেছেন। প্যাডসর্বস্ব, ভুঁইফোড়, বিবৃতিজীবী, পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিক ও যুদ্ধাপরাধীদের ধরে এনে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন করে তাদের ক্ষমতায়ন করেছিলেন জিয়া। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও গণমাধ্যম থেকে মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’-কে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতির প্রচলন করেছিলেন। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে কার্যত অঘোষিতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

বিএনপিকে এখন আর রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না, এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনি গোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের নিকট আত্মসমর্পণ করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।