- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জুলাই ২০২৩, ১৩:৩৪
ভারত থেকে আমদানির খবরেই সোমবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। মঙ্গলবার দাম কিছুটা বেড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় উঠে। কিন্তু এক দিন পরই এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে।
মরিচের দাম আবারো বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ক্রেতার অভিযোগ, আমদানিকৃত মরিচ বাজারে এলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে দেশী মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানি দিয়ে দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম হওয়াতে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
আজ বাজারে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা। আর এক কেজিতে রাখা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, এখন প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২০৫০ থেকে ২১০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি পড়ছে ৪৫০ টাকা। এর মাঝে কিছুটা বাদ যাবে, গাড়ি ভাড়া আছে। এরপর যা থাকে সেটা লাভ।
দাম বাড়ার কথা শিকার করেছেন পাইকার ব্যবসায়ীরাও। তারা জানান, সরবরাহ কম হওয়ার কারণে পাইকারিতেও কাঁচা মরিচের দাম আবারো বেড়েছে। কাঁচামালের দাম সরবরাহের ওপর ওঠানামা করে থাকে।
তবে ব্যবসায়ীদের কথা মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে বন্দি মরিচ। আমদানিকৃত মরিচ বাজারে এসেছে তাহলে দাম কেন কমছে না? নিশ্চয়ই ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে রান্নার অতিপ্রয়োজনীয় মসলা জাতীয় পণ্যটি।
কাঁচা মরিচের দাম বেশি রাখায় ১১৮ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তাদের মোট ছয় লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মূল্য তদারকির জন্য সারাদেশে ৪৪টি বাজারে অভিযান চালায় অধিদফতর। সোমবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে এ অভিযান চালানো হয়।