কর্নাটকে বিদ্বেষের পরাজয়

  • শাকিল রশিদ
  •  ০২ জুন ২০২৩, ২০:১৪

কর্নাটকে বিজেপির আধিপত্য শেষ। কিন্তু আধিপত্য চলে যাওয়া সত্তে¡ও বিজেপির অবস্থা ‘রশি ছিড়ে গেছে, চরকা তো আছে!’ প্রবাদের মতো। বিজেপি ফলাফল আসার একদিন আগে, অর্থাৎ ১২ মে শুক্রবার থেকেই এ দাবি করছিল যে, সরকার তো তারাই গঠন করবে। যাক, কেউ তো কারো মুখে বাধা দিতে পারে না। এটি তো বিজেপির মুখ। তারা যেমন পারে বলুক। এখন কর্নাটকে তাদের ডাল গলবে না। কেননা কংগ্রেস পরিপূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে। তবে বিজেপির দাবির সাথে এ বাস্তবতা তো সামনে চলে এসেছে, যে বাস্তবতা গোপন বলতে কিছুই নয়, তারা লজ্জাজনক পরাজয় সত্ত্বেও কর্নাটকে অপারেশন কমলের স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। এমনো হতে পারে, এর জন্য কোনো পরিকল্পনাও হয়তো বা তারা নিচ্ছে। অথচ কর্নাটকে তাদের যে পরিণতি ঘটেছে, তা বাণিজ্যিক-ভিত্তিতে কুমারা স্বামীর নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের সরকার গঠনেরই ফল। তবে কথিত আছে, যখন খারাপ দিন আসে, তখন বিবেক ঘাস তুলতে যায়। এমনই কিছু অনৈতিক পদক্ষেপের জন্য দুর্নাম বিজেপির সঙ্গী হচ্ছে। চলুন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে ফিরে যাই। কংগ্রেস চরম পরাকাষ্ঠা দেখাল। পরাকাষ্ঠা এ জন্য যে, বিজেপির মারাত্মক শক্তিতে প্রভাবিত বলয়ের মধ্যেও তারা যে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে এনেছে, তা সহজ ছিল না। কংগ্রেসকে কয়েকটি ময়দানে লড়তে হয়েছে। ইনকাম ট্যাক্স ও ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট করতে শুরু করে নির্বাচনের সময়টিতেই। নির্বাচন কমিশন সন্দেহাতীতভাবে পক্ষপাতিত্ব করে। বিজেপির শত খুন মাফ ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষেত্রে একটি অর্থবোধক বাক্যও তাদের কাছে অসহনীয় ছিল। সব প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা একরকম কংগ্রেসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং সব শক্তিকে বিজেপির জন্য কাজ করতে দেখা গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০ দিনের জন্য কর্নাটকে খুঁটি গেড়ে বসেছিলেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুরো দেশের কথা বাদ দিয়ে সব মনোযোগ কর্নাটকে দিয়ে রেখেছিলেন। বিজেপির প্রেসিডেন্ট নাড্ডাও কর্নাটকের হয়ে থেকে গিয়েছিলেন। বিজেপির আরো ছোট-বড় নেতা, যাদের মধ্যে স্থানীয় নেতারাও ছিলেন, পুরো কর্নাটকে প্রচার করে বেড়িয়েছেন। মোট কথা, বিজেপি কর্নাটকে সব শক্তি নিয়োগ করেছিল। এ বিধানসভা এক দিক দিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনালও ছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিজের ডালপালাকে সুদৃঢ় করা বরং নিজের নাক বাঁচানোর এক সুবর্ণ সুযোগ ছিল। মোদি বর্তমানে বেশ সুদৃঢ় পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে নেই। ভেতর ভেতরেই তার বিরুদ্ধে, দলের ভেতর তার স্বভাবের বিরুদ্ধে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। ওদিকে ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার সামনে এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন। কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটি প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল যে, এখনো তার জাদু বহাল আছে, এখনো তার তরঙ্গ আছে এবং এখানো তিনি ছাড়া বিজেপি কোনো নির্বাচন জিততে পারবে না। কিন্তু এ সুযোগ তিনি নিজেই তার পদক্ষেপের কারণে হারিয়েছেন। নিঃসন্দেহে মোদির রাজনীতির ওপর কর্নাটকে বিজেপির এই শোচনীয় পরাজয়ের প্রভাব পড়বে। আর এ প্রভাব নিশ্চিত ইতিবাচক হবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিজেপি কর্নাটকের লড়াইয়ে কেন জিততে পারল না?

যদি আমরা বিজেপির, বরং বলা উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্বাচনী প্রচারাভিযান নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে স্পষ্টরূপে দেখা যাবে, তিনি ভুলপন্থায় প্রচার চালিয়েছেন। এটি এমন এক প্রচারাভিযান ছিল, যেখানে কর্নাটক ও কর্নাটকবাসীর সমস্যার কোনো উল্লেখ ছিল না। এই অভিযানে সাম্প্রদায়িকতা; বরং বলা যায় মুসলিমবিদ্বেষের সর্বাত্মক জোর দেয়া হয়েছিল। আর যে সমস্যাগুলোকে বা যে ইস্যুগুলোকে উত্থাপন করা হয়েছে এবং সমস্যা বানানো হয়েছে কিংবা যে কথাগুলোর প্রচার করা হয়েছে, বাস্তব সমস্যাবলির সাথে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। অনুরূপ বাসভরাজ বোমাইয়ের সরকার পক্ষপাত ও সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছিল। তার মনে হয়েছিল, হিজাব ইস্যু তার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার বিশ্বাস ছিল, টিপু সুলতানকে হিন্দুদের শত্রু বলার কারণে তিনি বেশ ভোট পাবেন। তার মনে হয়েছিল, যদি মুসলমানদের জন্য হালাল খাবার পাওয়াটা কঠিন করে দেয়া হয়, তাহলে সব হিন্দু তার মুঠোয় চলে আসবে। এরকম আরো কিছু প্রধানমন্ত্রীরও মনে হয়েছিল। মোদি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সূচনাই করেছিলেন মুসলিমবিদ্বেষ দিয়ে। কর্নাটকে বিজেপি নেতা ঈশ্বরপ্পা শুরুতেই এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন যে, বিজেপির মুসলিম ভোটের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহ এ ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করে ঈশ্বরপ্পার হ্যাঁ-এর সাথে হ্যাঁ মেলান। বোমাই মুসলমানদের ৪ শতাংশ রিজার্ভেশন বন্ধ করে দিয়ে সেটিকে ২ শতাংশ করে লিঙ্গায়েত ও বোক্কালিগাদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন (বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট ওই সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন)। অমিত শাহ কর্নাটকে পৌঁছে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এ ঘোষণা দেন, কর্নাটকে আগামীতে মুসলামানদের কোনো রিজার্ভেশন দেয়া হবে না। অমিত শাহ এখানেই ক্ষান্ত হননি। তিনি এ পর্যন্তও বলেন যে, কর্নাটকে যদি বিজেপি না জিতে, তাহলে দাঙ্গা হবে। এটি বরং এক ধরনের হুমকি ছিল যে, বিজেপিকে হয় ভোট দাও, নতুবা আবার দাঙ্গার শিকার হওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। একটি মনোরম কথা এটিও আছে যে, বিজেপির প্রচার বিভাগ এ কথা ছড়ায়, টিপু সুলতানকে ইংরেজরা শহীদ করেনি; বরং তাকে আক্রমণ করেছে বোক্কালিগার লোকেরা। কিন্তু যে কমিউনিটিতে এ অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সেই কমিউনিটি কঠোরভাবে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিজেপির মুখের কথা মুখেই থেকে গেছে। কর্নাটকের দীর্ঘদেহী কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে লিঙ্গায়েত বিরোধী প্রমাণ করার জন্য বিজেপি সব শক্তি ব্যয় করেন। কিন্তু লিঙ্গায়েতদের তার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। অনুরূপভাবে নাড্ডা কর্নাটকের অধিবাসীদের এভাবে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করেন, তারা হয় মোদিকে ভোট দেবে, নতুবা কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলো থেকে উপকার লাভ করতে পারবে না। এটি এক ধরনের হুমকি ছিল যে, বিজেপিকে ভোট না দিলে কেন্দ্রের স্কিমগুলো থেকে বঞ্চিত হতে হবে। স্মৃতি ইরানি, যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্তমানে হজযাত্রীদের হয়রানি করার ঠিকাদারি নিয়েছেন, তিনি কর্নাটকে পৌঁছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নামাজ পড়ার মিথ্যা বক্তব্য দেন। নিশ্চয় এ কথাকে কৌতুক মনে করে কর্নাটকের লোকেরা বেশ হাসাহাসি করেছে।

কিন্তু সবচেয়ে খারাপ আচরণ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মোদি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বিজেপির একজন প্রচারক হিসেবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। এটি তার অপরাধ নয়। তিনি আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন। প্রচার করা তার এমন এক অভ্যাস হয়ে গেছে যে, এখান থেকে অব্যাহতির নাম নিচ্ছেন না। তার ওপর রয়েছে সা¤প্রদায়িকতা। কথাগুলো খুব মনে পড়ছে। মোদি যখন কর্নাটকে তাঁবু ফেলেন, তখন দেশ বেশ কয়েকটি সমস্যায় জর্জরিত। যন্তর মন্তরে নারী কুস্তিগীরসহ কুস্তিগীররা ধর্মঘটে বসেছিলেন। তাদের অভিযোগ, বিজেপির এমপি ব্রিজ ভ‚ষণ শরণ সিং নারী কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। প্রধানমন্ত্রী যতদূর সম্ভব এ দাবির কথা শুনেছেন। কিন্তু তিনি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এখনো যন্তর মন্তরে নারী কুস্তিগীররা বসে আছেন। এ মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসীরা সেনা জওয়ানকে শহীদ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কানে তালা মারা হয়েছে যেন। মণিপুর জ্বলছে। মোদি রোমের রাজা নিরোর মতো বাঁশি বাজিয়ে যাচ্ছেন। মণিপুর আজো জ্বলছে। অমিত শাহ, যিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি মণিপুরের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ রেখে নির্বাচনী অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন। এ সব কিছু এ দেশের মানুষ, বিশেষত কর্নাটকের মানুষ দেখছিলেন এবং আফসোস করছিলেন যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী শুধু নির্বাচন নিয়ে পড়ে আছেন, দেশের কোনো চিন্তা নেই। মোদির কর্নাটকে ১০ দিনের অবস্থান এবং রোড শোও তাকে এবং বিজেপিকে বাঁচাতে পারেনি। বরং সত্য হচ্ছে, দীর্ঘ অবস্থান তার জন্য এবং তার দলের জন্যও জটিলতা সৃষ্টি করেছে। মানুষ এ কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছে, এ কেমন কথা, কোনো প্রধানমন্ত্রী এত দীর্ঘ নির্বাচনী প্রচারকাজে শরিক হন? কর্নাটকের মানুষ তো এর আগে এমনটি কখনো দেখেনি। রোড শোর সময় সড়কগুলোতে যানজট হওয়াটাও মোদির বিরুদ্ধে গেছে। মানুষ প্রকাশ্যে এর সমালোচনা করেছে। এরপর সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে ‘জয় বজরঙ্গ বলী’র শ্লোগান। কংগ্রেস সম্ভবত তাদের ইশতেহারে বজরঙ্গ দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওয়াদায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করেছে। তাদের মনে হয়েছে, এ ওয়াদা ইশতেহারে যুক্ত না করা উচিত ছিল। কিন্তু কোনো কোনো সময়, কিছু অনুচিত কাজও উপকার দেয়। এই ওয়াদারও এমনই কিছু প্রভাব পড়েছে। মোদি শুধু ‘জয় বজরঙ্গ বলী’ শ্লোগান দেননি; বরং এ পরামর্শও দিয়েছিলেন, ‘ভোট দেয়ার জন্য জয় বজরঙ্গ বলী শ্লোগান দিয়ে বাটন টিপবেন।’ কর্নাটকের মানুষ বজরঙ্গ দলের প্রতি অসন্তুষ্ট। এ দলটি তাদের মনের মতো দল নয়। এ জন্য মোদির কথা তাদের ওপর যেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি, তেমনি তারা এ শ্লোগানকে কর্নাটকের কোনো ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করেননি; বরং উল্টো বজরঙ্গ দলের সাথে বজরঙ্গ বলী শ্লোগানজুড়ে দেয়াকে হনুমান জির অপমান মনে করা হয়েছে। উল্টো লাঠি বিজেপির ওপরই আঘাত করেছে। মোদি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাকেও নির্বাচনী ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সিনেমাও বিজেপিকে বাঁচাতে পারেনি। কর্নাটকের মানুষ মোদি ও বিজেপির সব আধিপত্য ও ক্ষমতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বিজেপির এ পরাজয় সাম্প্রদায়িকতার পরাজয়, বজরঙ্গ দলকে বেকসুরের ছাড়পত্র প্রদানের পরাজয়, বজরঙ্গ বলী শ্লোগানের অবমাননার পরাজয় এবং নির্বাচনের পুরো সময়টিতে কর্নাটকের মানুষের সমস্যাবলিকে উপেক্ষা করার পরাজয়। দুর্নীতিকে বৈধ ঘোষণা দিয়ে ৪০ শতাংশ কমিশনে মুখ বন্ধ রাখার পরাজয়। কর্নাটকে উন্নয়নের কাজগুলোকে উপেক্ষা করার পরাজয়। এ পরাজয় বিজেপি ও মোদির নীতিসমূহের। কংগ্রেস বুঝে শুনে তাদের খেলাটা খেলেছে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদির ফালতু কথাকে কর্নাটকবাসীর সামনে তুলে ধরার প্রতি সব মনোযোগ কেন্দ্রবিন্দু করে রেখেছেন। তারা বলেছেন, এটি কর্নাটকের সমস্যা নয়। এখন মোদির পৃথিবী ছোট হতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের জমিয়তে উলামার প্রবীণ দায়িত্বশীল গুলজার আজমি কংগ্রেসের এই জয় এবং বিজেপির পরাজয়ে এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, মোদির পতন শুরু হয়ে গেছে। এখন বিজেপির পরিসমাপ্তি সন্নিকটে। আল্লাহ তার এ ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবে পরিণত করুন। এটি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ভালোবাসার জয়। আর হ্যাঁ, আরো একটি কথা, এটি মুসকান খান ও সেই সব অগণিত বোরকা পরিধানকারী বালিকা-তরুণীর জয়, যাদের মাথা থেকে দোপাট্টা ও বোরকা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য বোমাই সরকার সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করেছিলেন।

-মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুম্বাই উর্দু নিউজ ১৪ মে, ২০২৩ থেকে ভাষান্তর ইমতিয়াজ বিন মাহতাব
[email protected]
লেখক : ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট