নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার টিকা নিয়েও সরকার দুর্নীতি ও চুরি করার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়া নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চিরাচরিত অভ্যাস দুর্নীতি করা। করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও এই মোহ ছাড়তে পারছে না সরকার। ৩ ডলার দিয়ে কেনা ভ্যাকসিন ৫ ডলার দিয়ে কিনছে, বাংলাদেশের এই অতিরিক্ত দেড় ডলার কোনো মন্ত্রী এমপির পকেট থেকে যাবে না, যাবে জনগণের প্রদত্ত ট্যাক্স থেকে। এখানেও সরকারের দুর্নীতির একটা বড় অংশ রয়েছে আর এই কন্ট্রাক্ট যিনি পেয়েছেন তিনি সরকারের উপদেষ্টা হলেও ব্যাংকের একজন বড় ডিফল্ডার, এ থেকেই বোঝা যায় দুর্নীতি এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় দেশের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী যিনি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণ খেলাপি তিনি কী করে সরকারের উপদেষ্টা হয়! তার হাতে এই দায়িত্ব পড়লে কী হবে জনগণ তা জানে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালে যে জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল তা ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গিয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গিয়েছে এবং জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সুপ্ত বাসনা ছিল, যে তারা দেশের মালিক হবে। সেই পথে হাঁটছে তারা। বাসনা থেকে ধীরে ধীরে আদালত, বিচার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন ও সংসদ সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এ দেশকে পরিচালনা করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য, জনগণের জন্য ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে জনগণের ভোটাধিকার ব্যবস্থার বঞ্চিত করেছে। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন কৌশলে আদালতকে ব্যবহার করছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের হাল-হকিকত একই আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত রক্ষা করতে এবং আন্দোলনে অংশ হিসেবে।
তিনি বলেন, অন্য সময় জনগণের কাছে যাওয়া যায় না, জনগণের সঙ্গে কথা বলা যায় না। গেলেই নানা অজুহাত তুলে মামলা দেয়, হামলা করে তারা। নির্বাচনের সময় বাধা দেয় না। এ সময় সুযোগ তৈরি হয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার, দেখা করার।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।