কখনো বলিনি, ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই

Prothom Alo|নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে একটি আইন প্রণয়নের আলোচনায় বিএনপির সাংসদদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির নারী সাংসদ রুমিন ফারহানা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ‘আইনগতভাবে’ তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারামতে, এ সুযোগ দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

রুমিনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি কখনো বলেনেনি ৪০১ ধারামতে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বর্তমানে সাজা স্থগিতপূর্বক বাসায় আছেন, সেটা ৪০১ ধারার ভিত্তিতেই। খালেদা জিয়ার পক্ষে যে আবেদন হয়েছিল, সেখানে কোনো ধারার উল্লেখ ছিল না। সরকার খুঁজে এ ধারা বের করেছে। আবেদনটি ৪০১ ধারার আলোকেই নিষ্পত্তি হয়েছে। আর একটি আবেদন যে ধারার অধীনে নিষ্পত্তি হয়েছে, একই ধারায় বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।
আইনমন্ত্রী যখন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর সামনের আসনে ছিলেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পেছনে ফিরে আইনমন্ত্রীকে বিএনপির কিছু অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

পরে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, খালেদা জিয়া এর চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আর এটা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার কারণে। সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির শর্তে তাঁর বাসায় অবস্থান করা এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন। কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা দেখালেও তাঁরা কিন্তু সেটা করেননি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাঁর (খালেদা জিয়ার) ছেলে তারেক জিয়া। তার পরও তাঁকে দয়া করা হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু তার পরও খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করছেন। এটি পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার কারণে। বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন ও পুরস্কৃত করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই মামলার প্রধান আসামি তারেক জিয়া। তার পরও খালেদা জিয়ার প্রতি দয়া করা হচ্ছে। সুচিকিৎসা করা হচ্ছে।