- ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
- ২৭ মে ২০২২, ২০:০৯
সাদকায়ে জারিয়া
সাদকায়ে জারিয়া আরবি শব্দ। সাদকা শব্দের অর্থ দান করা এবং জারিয়া অর্থ চলমান, সদাস্থায়ী প্রভৃতি।
সাদকায়ে জারিয়া হলো এমন দান যার কার্যকারিতা কখনো শেষ হবে না এবং রোজ কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ এই পৃথিবীতে যত দিন এর কার্যক্রম থাকবে তত দিন পর্যন্ত কবরে শুয়ে শুয়ে সাদকাকারী ব্যক্তি এর সওয়াব পেতেই থাকবে। এজন্যই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সাদকায়ে জারিয়ার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা।
ফলাফল প্রাপ্তির স্থায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে সাদকা দুই রকম। একটি সাধারণ সাদকা যা অস্থায়ী, আরেকটি সাদকায়ে জারিয়া। সাদকায়ে জারিয়া হচ্ছে উত্তম দান।
ওয়াকফ শুধু মুসলিমদের বৈশিষ্ট্য। রাসূল সা:-এর সাহাবিদের মধ্যে যাঁদেরই সামর্থ্য ছিল তাঁরা সবাই ওয়াকফ করেছেন। ওয়াকফের শাব্দিক অর্থ কোনো কিছু আটকে রাখা, উৎসর্গ করা। আর পারিভাষিক অর্থে, বস্তুর মূল স্বত্ব ধরে রেখে (মালিকানায় রেখে) এর উপকারিতা ও সুবিধা প্রদান করা।
সাদকায়ে জারিয়া অবিনিময়যোগ্য দান। এর অন্যতম উদ্দেশ্য সামাজিক ও সামষ্টিক উপকার করা। এটা হতে পারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু করলে বৃহত্তরভাবে উপকার করা যায়। যেমন কেউ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করল আর কেউ শুধু একজন রোগীকে সেবা দিলো। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের মাধ্যমে এরকম বহু রোগীর সেবা করা সম্ভব। রাসূল সা: বলেছেন, দুটি জিনিস মানুষের উন্নতির উপকরণ। একটি ‘উত্তম সন্তান’, অন্যটি সাদকায়ে জারিয়া।
‘যখন মানুষ মারা যায় তখন তার আমল স্থগিত হয়ে যায়, কেবল তিনটি আমল ছাড়া; সাদাকায়ে জারিয়া, কিংবা এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হয় কিংবা এমন সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬৩১)
‘একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আমলনামায় যা থেকে নেকি যোগ হবে তা হলো- যদি সে শিক্ষা অর্জনের পর তা অপরকে শিক্ষা দেয় ও প্রচার করে, সৎ সন্তান রেখে যায়, ভালো বই রেখে যায়, মসজিদ নির্মাণ করে দেয়, মুসাফিরের জন্য সরাইখানা নির্মাণ করে, খাল-নদী খনন করে দেয় অথবা জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য সম্পদ থেকে সাদকা করে’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৪২)।
‘যে ইসলামে কোনো উত্তম নিয়ম চালু করে, যে অনুযায়ী পরবর্তীতে আমল করা হয়, তার জন্য আমলকারীদের অনুরূপ সওয়াব লেখা হবে। তাদের সওয়াব সামান্য পরিমাণও কমানো হবে না। আর যে ইসলামে কোনো মন্দ নিয়ম চালু করে, যে অনুযায়ী পরবর্তীতে আমল করা হয়, তার জন্য আমলকারীদের অনুরূপ গোনাহ লেখা হবে। তাদের গোনাহ কিছুমাত্রও কমানো হবে না’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০১৭)। অর্থাৎ সাদকায়ে জারিয়া যেমন আছে তেমনি গুনাহে জারিয়াও আছে।
‘কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ঙ্কর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সাদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সাদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা’ (মুসলিম)।
রক্ত, কিংবা অঙ্গ দান করা, বৃক্ষরোপণ, মানবতার কল্যাণে সহায়-সম্পদ ওয়াকফ করা, এতিমের লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়া, মসজিদ নির্মাণ কিংবা মসজিদে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দান, পানীয় জলের জন্য খাল খনন, ক‚প খনন, কোরআন শিক্ষা দেওয়া বা শিক্ষার ব্যবস্থা করা, মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতাল নির্মাণ কিংবা চিকিৎসাসামগ্রীর ব্যবস্থা করা, কবরস্থানের জন্য জমি দান কিংবা জমি কিনতে আর্থিক সহায়তা, মৃতের দাফন-কাফনের ব্যয় জোগানো কিংবা মুসলমানদের কল্যাণে আসে এমন ইসলামী বই, তাফসির, হাদিস, ফিকাহশাস্ত্রের বই-পুস্তক মুদ্রণ কিংবা বিতরণে সহায়তা করা, অত্যাচারিত মুসলমান স¤প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানো, ভালো কাজ করা এবং ভালো কাজে উৎসাহ দেয়া ইত্যাদি সবই সাদকায়ে জারিয়া।
শুধু মানুষই নয়, আল্লাহর সৃষ্টি জগতের সব সৃষ্টির কল্যাণে যে কোনো জনহিতকর কাজই সাদকায়ে জারিয়া হতে পারে। এমনকি নিঃস্বার্থ যেকোনো কল্যাণকর কাজই হতে পারে সাদকায়ে জারিয়া। যাতে দুনিয়ার কোনো ব্যক্তিস্বার্থ থাকে না।
১৯১৩ সালে ভারতের মুসলিম ওয়াকফ বৈধকরণ আইনে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী ওয়াকফ অর্থ কোনো মুসলমান কর্তৃক তার সম্পত্তির কোনো অংশ এমন কাজের জন্য স্থায়ীভাবে দান করা, যা মুসলিম আইনে ‘ধর্মীয়, পবিত্র বা সেবামূলক’ হিসেবে স্বীকৃত।
হাদিসে এসেছে, ওমর ইবনুল খাত্তাব রা: খায়বারে কিছু জমি লাভ করেন। তিনি এ জমির ব্যাপারে পরামর্শের জন্য রাসূল সা:-এর কাছে এলেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আমি খায়বারে এমন উৎকৃষ্ট কিছু জমি লাভ করেছি, যা এর আগে আর কখনো পাইনি। আপনি আমাকে এ ব্যাপারে কী আদেশ দেন?’ রাসূল সা: বলেন, ‘তুমি ইচ্ছা করলে জমির মূল স্বত্ব ওয়াকফে আবদ্ধ করতে এবং উৎপন্ন বস্তু সাদকা করতে পারো।’ বর্ণনাকারী ইবনে ওমর রা: বলেন, ওমর রা: এ শর্তে তা সাদকা (ওয়াকফ) করেন যে তা বিক্রি করা যাবে না, তা দান করা যাবে না এবং কেউ এর উত্তরাধিকারী হবে না’ (বুখারি, হাদিস : ২৫৮৬)।
ওয়াকফ তিন ধরনের। এক. ওয়াকফ ফি লিল্লাহ অর্থাৎ সর্বসাধারণের জন্য ওয়াকফ। দুই. ওয়াকফ আলাল আওলাদ অর্থাৎ ব্যক্তিগত ওয়াকফ। তিন. মিশ্র ওয়াকফ।
শুধু ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে যে ওয়াকফ করা হয় সেটিই ওয়াকফ ফি লিল্লাহ। উৎসর্গকারীর নিজের জন্য বা পরিবার বা বংশধরদের উপকারের জন্য যখন উৎসর্গ করা হয় তখন সেটি ওয়াকফ আলাল আওলাদ।
মিশ্র ওয়াকফে ধর্মীয় ও দাতব্য প্রকৃতির সর্বজনীন উদ্দেশ্যের পাশাপাশি উৎসর্গকারীর, তার পরিবার ও বংশধরদের ভরণ-পোষণ উভয় উদ্দেশ্যই কাজ করে।
পরিধানের জন্য গয়না ওয়াকফ করা ও ধার দেয়া জায়েজ। কেননা এগুলো উপকারী জিনিস। সুতরাং জায়গা-জমির মতো এগুলোও ওয়াকফ করা যাবে।
ওয়াকফ দানকারীর শর্তসমূহ:
প্রথমত, ওয়াকফকারীকে দান করার যোগ্য হতে হবে। অতএব, জবরদখলকারী ও যার মালিকানা এখনো স্থির হয়নি এমন লোকদের পক্ষ থেকে ওয়াকফ করা জায়েজ হবে না। দ্বিতীয়ত, ওয়াকফকারী সুস্থ জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। তৃতীয়ত, ওয়াকফকারকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।
ওয়াকফকৃত বস্তুর শর্তসমূহ:
প্রথমত, ওয়াকফকৃত বস্তুর মূল্য থাকতে হবে। যেমন, জায়গা-জমি ইত্যাদি। দ্বিতীয়ত, ওয়াকফকৃত বস্তু সুনির্দিষ্ট হতে হবে। এজমালি সম্পত্তি হতে পারবে না। বহু মানুষের মালিকানাধীন কোনো বস্তুর একাংশ এককভাবে ওয়াকফ করা যাবে না।
প্রত্যেক ব্যক্তিই ওয়াকফ করার পাশাপাশি অসিয়তও করতে পারে। তবে ওয়াকফ ও অসিয়তের মধ্যে পার্থক্য আছে। ওয়াকফ হলো মূল স্বত্ব নিজের রেখে বস্তুর উপকার দান করা, অন্যদিকে অসিয়ত হলো দানের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে বস্তুগত বা অবস্তুগত জিনিসের মালিক বানানো।
ওয়াকফ করলে তার বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে এবং ওয়াকফ ফেরত নেয়া যায় না। অন্যদিকে অসিয়ত করলে বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যকীয় হলেও অসিয়তকারী তার অসিয়তের পুরোটাই বা আংশিক ফেরত নিতে পারবে।
ওয়াকফের উপকারের মালিকানা যাদের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে তারা ওয়াকফকারীর জীবদ্দশায়ই পাবে এবং তার মৃত্যুর পরও ভোগ করবে। কিন্তু অসিয়তের মালিকানা অসিয়তকারীর মৃত্যুর পর ছাড়া ভোগ করতে পারবে না।
ওয়াকফের সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট নয়। পক্ষান্তরে অসিয়তের সর্বোচ্চ সীমা ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত। আর তা হলো মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ। তবে ওয়ারিশের অনুমতি সাপেক্ষে এর বেশিও করা যায়।
ওয়ারিশের জন্য ওয়াকফ করা জায়েজ, কিন্তু ওয়ারিশের অনুমতি ছাড়া ওয়ারিশের জন্য অসিয়ত করা জায়েজ নেই।
দানের উপকারিতা:
প্রথমত, দান সম্পদ বৃদ্ধির কারণ। দান করে কেউ দেউলে হয়েছে এমন উদাহরণ জগতে একটিও নেই। বরং দান না করে, সম্পদের অপচয় করে ধ্বংস হয়ে গেছে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। হজরত আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, এমন কোনো দিন যায় না যেদিন দু’জন ফেরেশতা পৃথিবীতে আগমন করেন না, তাদের একজন দানশীল ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে থাকেন এবং বলেন, হে আল্লাহ! দানকারীর মালের বিনিময় দান করুন (বিনিময় সম্পদ বৃদ্ধি করুন), দ্বিতীয় ফেরেশতা কৃপণের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বদ দোয়া করে বলতে থাকে, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করুন’ (বুখারি : ১৪৪২; মুসলিম : ১০১০)। ‘দান-সাদকা সম্পদ বৃদ্ধি বৈ কমায় না’ (মুসলিম : ২৫৮৮)।
দ্বিতীয়ত, মানুষের জীবন আছে কিন্তু বিপদাপদ নেই এমন কিন্তু কখনো হয় না। দান-সাদকার মাধ্যমে বিপদাপদ দূর হয়। হজরত আনাস ইবনে মালিক রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, তোমরা অতিসত্বর দানের দিকে ধাবিত হও, কেননা বিপদাপদ দানকে অতিক্রম করতে পারে না’ (শুয়াবুল ঈমান: ৩০৮২; আত তারগিব : ১২৯৯)। এমনকি পাপাচারী এবং কাফেরের দানেরও প্রভাব রয়েছে। তৃতীয়ত, দান-সাদকাহ প্রভূত কল্যাণ এবং অনেক পাপ মিটিয়ে দেয়। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: বলেন, আমি নবীজি সা:-এর সাথে এক সফরে ছিলাম। তিনি বললেন, হে মুয়াজ! আমি কি তোমাকে প্রভূত কল্যাণ লাভের পথ বাতলে দেব না? অতঃপর নবীজি সা: বললেন, রোজা ঢালস্বরূপ আর সাদকা পাপকে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয় (তিরমিজি: ২৬১৬; ইবনে মাজা : ৩৯৭৩)।
চতুর্থত, দান-সাদকা পবিত্রতার প্রতীক, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎ কাজের বৃদ্ধিকারক। পঞ্চমত, রোগ নিরাময় করে: হজরত আব্দুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, তোমরা তোমাদের মধ্যকার অসুস্থ ব্যক্তিদের দানের মাধ্যমে চিকিৎসা করো (বায়হাকি : ৬৫৯৩)।
ষষ্ঠত, দান করলে আল্লাহতায়ালা দানকারীর হায়াত বাড়িয়ে দেন। হজরত আমর ইবনে আওফ রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, মুসলমান ব্যক্তির সাদকা তার হায়াত বৃদ্ধি করে (তাবারানি, হাদিস : ৩১)। ইমাম নববী রহ: ‘হায়াত বৃদ্ধি’র উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ হায়াতের মধ্যে বরকত দান করবেন, ফলে অল্প সময়েও অধিক ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক লাভ হবে।
সপ্তমত, গুনাহ করার পর গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় দান করলে আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত হয়ে যায় এবং তার ক্ষমা লাভের পথ সহজ হয়। হজরত আনাস ইবনে মালিক রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সাদকা আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে’ (তিরমিজি : ৬৬৪; ইবনে হিব্বান : ৩৩০৯)।
অষ্টমত, দান-সাদকা দানকারী ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে। হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সাদকা অপমৃত্যু রোধ করে’ (তিরমিজি : ৬৬৪; ইবনে হিব্বান : ৩৩০৯)।
নবমত, হাশরের ময়দানে সূর্যের প্রখর উত্তাপের সময় আল্লাহর আদেশে দান-সাদকাকারীকে ছায়া দেয়া হবে। হজরত উকবা ইবনে আমের রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, হাশরের ময়দানে মানুষের মাঝে চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক দানকারী ব্যক্তি তার সাদকার ছায়ার আশ্রয়ে থাকবে (মুসনাদে আহমদ : ১৭৩৩৩; ইবনে হিব্বান : ৩৩১০)।
দশমত, আরশের নিচে ছায়া পাবে: আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ আরশের নিচে ছায়া দেবেন। তাদের এক শ্রেণী হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যে এমনভাবে
গোপনে দান করেছে যে তার বাম হাত জানতে পারেনি তার ডান হাত কী দান করেছে (বুখারি : ৬৬০; মুসলিম : ১০৩১)।হ
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব হিস্টোপ্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি
[email protected]