ওবায়দুল কাদেরের সড়কে ঘুষ-দুর্নীতির ‘উন্নয়ন’

ওবায়দুল কাদেরের সড়কে ঘুষ-দুর্নীতির ‘উন্নয়ন’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা অনুযায়ী এ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বচন দিলেও তাঁর সময়ে ঠিকাদারি কাজ ও বিল পেতে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য হয়েছে। নেতা, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের আঁতাতে প্রকল্প ব্যয়ের ১০ থেকে ২০ শতাংশ গেছে। লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ কেনাবেচা, স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজিতে আরও ২ থেকে ৬ শতাংশ টাকার অনিয়ম হয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সংস্থার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন।

প্রতিবেদনে ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন প্রকল্পের ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সম্পন্ন ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গত ১৫ অর্থবছরে সওজে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে নির্মাণকাজে। ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোট ব্যয়ের ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছে।

সওজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. হাদীউজ্জামান সমকালকে বলেছেন, সড়কে ঠিকাদারি পেতে ঘুষ; ই-জিপি হলেও দরপত্রে দুর্নীতি; কমিশন হাতানোর উদ্দেশ্যে প্রকল্পের বিষয় কারও অজানা নয়। আবার দরপত্রে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির কারণে কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই অধিকাংশ কাজ পায়। এতে কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) কেনাবেচা হয়। এর পর ঠিকাদারকে ১৫-২০ শতাংশ মুনাফা করতে হয়। এ কারণে নির্মাণকাজ নিম্নমানের এবং প্রকল্প ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহছানুল হকের বক্তব্য জানা যায়নি। সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি দেখেছি। যারা গবেষণা করেছেন, তাদের নিশ্চয় মূল্যায়ন আছে। অভিযোগ তো অনেক আসে। এলেই তা সত্য নয়। যতক্ষণ সত্য প্রমাণিত না হয়, কী বলব? তবে দুর্নীতি প্রমাণ হলে দায়ীরা শাস্তি পাবে।’

গবেষণায় বিশ্বব্যাংকের বরাতে বলা হয়েছে, সড়ক নির্মাণ অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত শিল্প। বাংলাদেশে চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ ব্যয় ২১ থেকে ১০০ কোটি টাকা, যা প্রতিবেশী ভারতের ৯ গুণ এবং ইউরোপের দ্বিগুণ। প্রকল্প প্রণয়নের সময় উদ্দেশ্যমূলক ব্যয় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঠিকাদার, কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ৭৩ জন মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট

ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রতিষ্ঠানের নীতির কারণে প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর চাইলে দেবে টিআইবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতটি নতুন সড়ক, পাঁচটি সড়ক উন্নয়ন, তিনটি নতুন সেতু নির্মাণ, তিনটি সেতু উন্নয়ন, একটি ওভারপাস এবং ছয়টি সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষক জুলকারনাইন বলেন, একটি প্রকল্পে ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল বৃক্ষরোপণে। কিন্তু সরেজমিন একটি গাছও পাওয়া যায়নি।

সরকারি ক্রয় আইন (পিপিএ) ২০০৬ এবং সরকারি বিধিমালা (পিপিআর) ২০০৮ অনুযায়ী, দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। জালিয়াতির কারণে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে গত জুলাই পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত করে সওজ। গবেষণায় বলা হয়, কয়েকজন ঠিকাদার কালো তালিকাভুক্ত হলেও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত নেই। কতিপয় ঠিকাদারের রাজনৈতিক প্রভাব ও উচ্চ পর্যায়ে যোগসাজশের কারণে সওজ কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ঠিকাদারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করলেও সওজ কর্মকর্তাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এক কর্মকর্তা ঠিকাদারের কাজে ত্রুটি ধরায় তাঁকে মাঠ পর্যায় থেকে অফিস পর্যায়ে বদলি করা হয়।

শীর্ষ ১০ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ আমলে ৬ হাজার ৫০৯টি কার্যাদেশ পেয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ১৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে ৪০ হাজার ২৩২টি কার্যাদেশ পেয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৮৩ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ওবায়দুল কাদের, তাঁর স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়রা সম্পৃক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাদেশ পাওয়ায়। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরাও ছিলেন কিছু ঠিকাদারের পেছনে।

ই-জিপি প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে সর্বোচ্চ ১০ এবং সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ দর দিতে পারেন। সওজ সূত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে প্রাক্কলিত ব্যয় জানিয়ে দেওয়ায় দরপত্র জমা দেওয়া ঠিকাদারদের মধ্যে সর্বনিম্ন দর প্রায় ক্ষেত্রেই সমান হয়। এ ক্ষেত্রে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ‘পাস্ট পারফরম্যান্স ম্যাট্রিক্স’ পদ্ধতিতে। ৩০০ নম্বরের এ মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ১৪০ নম্বর আগের পাঁচ বছরে সম্পাদিত কাজের সংখ্যার জন্য। ১০০ নম্বর পাঁচ বছরে সম্পাদিত কাজের আর্থিক মূল্যের জন্য। ঠিকাদারদের চলমান কাজের আর্থিক মূল্যের জন্য ৬০ নম্বর রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান জানান, ই-জিপি পদ্ধতি ভালো হলেও পরিচালনাকারীরা অনিয়মে লিপ্ত। দরপত্র আহ্বানের আগেই ভাগবাটোয়ারা হয় কে, কোন কাজ পাবেন। নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদারকে কাজ দিতে সেভাবে শর্ত নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ অনিয়ম ভাঙতে না পারলে দুর্নীতি কমবে না। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতে আনার সুযোগ এসেছে।

দেশীয় অর্থায়নের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকার মতো প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নের প্রকল্পে অনিয়ম হয়; জানিয়েছেন গবেষক মোস্তফা কামাল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানেরও ব্যর্থতা রয়েছে।

সড়ক নির্মাণে অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে গবেষণায় বলা হয়, হাওরসহ জলাভূমি, কৃষিজমি অধিগ্রহণে সুনির্দিষ্ট নিয়ম লঙ্ঘন করে হাওরে সড়ক নির্মাণ করা হয়। গবেষক জুলকারনাইন বলেন, ২৬ হাজার গাড়ি চলার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও কিছু অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দেখা যায়নি সরেজমিন।
প্রকল্পকে আর্থিকভাবে লাভজনক দেখিয়ে অনুমোদনের জন্য অতিরঞ্জিত তথ্যে ভরা সমীক্ষার অভিযোগ গবেষণায়ও এসেছে। প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন (ডিপিপি) ও মূল্যায়ন পর্যায়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফরমায়েশি’ সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন প্রণয়ন করে তা ডিপিপির সঙ্গে জমা দেওয়া হয়। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ডিপিপি প্রণয়নের নজির রয়েছে। প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে সওজের বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যালয়প্রধান নিজে ডিপিপি করেন। কখনও কখনও পরিকল্পনা কমিশনে খুব দ্রুততার সঙ্গে ডিপিপি মূল্যায়নের চাপ আসে। কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প অনুমোদন সভায় ডিপিপির ওপর মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ জানার জন্য সওজ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মচারীদের ২ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেন। প্রকল্প অনুমোদন করাতে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইএআই) প্রতিবেদন যেভাবে প্রয়োজন, টাকার বিনিময়ে সেভাবেই করা হয় বলে টিআইবিকে জানিয়েছেন আইএমইডির কর্মকর্তা।

১৯৮৪ সালের জনবল কাঠামো দিয়ে চলছে সওজ। জনবল সংকটের কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিবন্ধকতায় পড়ে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। ঠিকাদারদের প্রসঙ্গে একজন প্রকৌশলীর বরাতে বলা হয়, অবহেলা ও অপেশাদারিত্ব রয়েছে। ঠিকাদাররা সক্ষমতার বেশি কাজ নেন।

সওজের ২৮ কার্যালয়ে শুধু পরিচালন ব্যয়ে ৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার দুর্নীতি চিহ্নিত হয়েছে সরকারি নিরীক্ষায়। গবেষণায় বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পের নিরীক্ষা হয় না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন ২০২৪ সালে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পেশ করা হয়েছে।

ডিপিপি প্রণয়নের সময়ই অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য ২৫-৩০ শতাংশ বাড়তি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। সওজের স্থানীয় দপ্তর ডিপিপি তৈরির সময় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদাররা নিজেদের ‘লাভের’ অংশ নিশ্চিত করে রাখেন। এ সম্পর্কে এক সওজ কর্মকর্তা সাক্ষাৎকারে বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি শুরুই হয় ডিপিপি থেকে।

ঠিকাদারি কাজ কে পাবে, তা ডিপিপি তৈরির সময়ই হয় বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক প্রকৌশলী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ডিপিপি দেখে অনিয়ম-দুর্নীতি ধরতে পারবেন না। এখানে কাজের পরিমাণ এবং রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় হয়ে থাকে। কাজ কতটুকু ধরা হয়েছে এবং হয়েছে কিনা– তা মূল বিষয়।

টিআইবিকে সাক্ষাৎকারে আরেক ঠিকাদার বলেছেন, কোন কোন কাজ অতিরিক্ত হিসেবে ধরা আছে, যা করতে হবে না; কোন খাতে কত  টাকা বাঁচানো যাবে; প্রকৌশলী ও ঠিকাদার আগেই জানেন। আবার প্রকল্পে স্যালভেজ থাকলে তার প্রকৃত পরিমাণ ও অর্থমূল্য এ দু’জনই জানেন। প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক ব্যয় কত ধরতে হবে, তা প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা বসে ঠিক করেন।

প্রকল্প পরিচালক নিয়োগেও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। গবেষণায় সওজ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ ১২টি পর্যন্ত প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে পদায়নের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।

২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পের ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ প্রকল্প চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় নিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রকল্প। এর মধ্যে একটি প্রকল্প সর্বোচ্চ ১৭ বছরে সমাপ্ত হয়েছে। সময়মতো ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ার কারণেও প্রকল্প দীর্ঘায়িত হয়। একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদানের ৫ বছর ৯ মাস ১৬ দিন পর ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলের আলোকে টিআইবি ১৬ দফা সুপারিশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

samakal