পাকিস্তানীরা তাঁকে ডাকতো পাপা টাইগার! তাঁর নাম শুনলে ত্রাস সৃষ্টি হতো পাকিস্তানি ক্যান্টনমেন্টে।
.
কর্মজীবনে ছিলেন ৩টি দেশের সেনাবাহিনীর অফিসার। ১৯৪২ সালে তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন তিনি। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন একটি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক। একটি দেশের স্বাধীনতার পথে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রধান সেনাপতি , একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার রনাঙ্গনের অন্যতম মহারথী। নির্লোভ ও সদা স্পষ্টভাষী মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।
.
বাবার চাকরির সূত্রেই সুনামগঞ্জে জন্ম এম এ জি ওসমানীর। বাবার চাকরির সুবাদে ওসমানীর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। একসময় তাঁরা সুনামগঞ্জ থেকে চলে গিয়েছিলেন গোহাটিতে৷ ওখানেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় ওসমানীর। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি সমগ্র ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এই দারুণ ফলাফলের জন্য ব্রিটিশ সরকার ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদান করেছিলো।
.
এরপর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেছিলেন ১৯৩৮ সালে। এরপর তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ – ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ওসমানী। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ পদোন্নতি পাওয়া মেজর। দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ই অক্টোবর ওসমানী যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। এসময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
.
১৯৫১ সালে তিনি যখন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক তখন তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো চট্টগ্রাম সেনানিবাস। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। পরে ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিতও হয়েছিলেন।
.
মুক্তিযুদ্ধের ২৫শে মার্চে ঢাকাতেই ছিলেন ওসমানী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বছর চারেক আগে অবসর নেয়া ওসমানীর সামরিক দক্ষতা ও দূরদর্শিতা সম্পর্কে পারিস্তান সরকার অবগত ছিল। তাই ঐ রাতেই ওসমানীকে হত্যার চেষ্টায় হন্যে হয়ে খোঁজে পাকবাহিনীর এক কমান্ডো। কিন্তু একেবারেই ভাগ্যগুণে অনেকটা অলৌকিকভাবে প্রাণ বেঁচে যান ওসমানী।
.
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণে বলেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম. এ. জি. ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
.
এম এ জি ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয়সাধন করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা – প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷
.
রণনীতির কৌশল হিসেবে ওসমানী প্রথমেই সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল দক্ষ এবং সংখ্যায় অনেক বেশি৷ এই বিবেচনায় ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ এজন্য এম. এ. জি. ওসমানী মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন৷ মে মাসের পর তাঁর মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷
.
এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন আনেন৷ প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করেন মুক্তির সংগ্রামে এম, এ. জি. ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এম. এ. জি. ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷
.
কিছুদিন পর এম. এ. জি. ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা যুবক নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তাঁরা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটা সঙ্কট এম. এ. জি. ওসমানী অনুভব করেন। সেটা হচ্ছে তাঁর হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার, ও একটি অটার আর তাঁর নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷
.
একসময় সামরিক বাহিনীর কতিপয় অফিসার প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুজিবনগরে বসে ওসমানীর পক্ষে এককভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করা কতটুকু সম্ভব? সেক্টর কমান্ডাররা নিজ নিজ সেক্টরে নির্দেশ প্রদানের অবাধ ক্ষমতা দাবী করেন। এ ঘটনায় ওসমানী মানসিকভাবে আহত হয়ে ১০ই জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের উপস্থিতিতে মুক্তিবাহিনীর প্রধানের পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। পরে তাঁকে বলা হয়, পুরো ঘটনাটিই একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সেক্টর কমান্ডার এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি স্বপদে পুনর্বহাল থেকে যান।
.
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারণ ছিল আর্মি প্রটোকল।আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান।অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না। আত্মসমর্পণের মুহূর্তে কেন আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন না তারও প্রমাণ মিলবে।
.
এম.আর.আক্তার মুকুল তাঁর ‘আমি বিজয় দেখেছি’ গ্রন্থে লিখেছিলেন,
‘১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর প্রায় বারো’টা নাগাদ কলকাতাস্থ থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমদের কাছে খবর এসে পৌঁছালো, ঢাকায় হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। আজ বিকেলেই ঢাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ হবে। মুজিবনগর সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উচ্চপদস্থ কাউকে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে তখন কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী জেনারেল ওসমানী) দেখে আনন্দে এক রকম চিৎকার করে উঠলেন, সি-ইন-সি সাহেব ঢাকায় সর্বশেষ খবর শুনেছেন বোধহয়? এখনতো আত্মসমর্পণের তোড়জোড় চলছে…! প্রধানমন্ত্রী বাকী কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না। ওসমানী তাঁকে করিডোরের আর এক কোণায় একান্তে নিয়ে গেলেন। দুজনের মধ্যে মিনিট কয়েক কি কথাবার্তা হলো, আমরা তা শুনতে পেলাম না। …………… ওসমানী সাহেবের শেষ কথাটুকু আমরা শুনতে পেলাম- ‘নো নো প্রাইম মিনিস্টার, মাই লাইফ ইজ ভেরী প্রেশাস, আই কান্ট গো’।”
.
এম.এন.এ. মোহাইমেন তাঁর ‘ঢাকা-আগরতলা-মুজিবনগর’ গ্রন্থে লিখেছিলেন,
সৈন্যবাহিনীতে আমার শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি এই মুহূর্তে ঢাকায় সম্পূর্ণ অরাজক অবস্থা চলছে। ঠিক এসময় ঢাকায় কোন জনসমাবেশের মধ্যে আমার উপস্থিত থাকা মোটেও নিরাপদ নয়। জনতার ভিড়ের মধ্যে মুজিব বাহিনীর লোকেরা যে কোন মুহূর্তে আমাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলতে পারে কিন্তু দোষ চাপিয়ে দিতে পারে আল-বদর, আল-শামসের ঘাড়ে এবং লোকেরাও সেটা বিশ্বাস করবে। তাই আমার শুভাকাঙ্খীরা বলেছে, ঢাকার অবস্থা মোটামোটি আয়ত্বে আসলে তারা আমাকে জানাবে এবং আমি আশাকরি দু’একদিনের মধ্যে আমি যেতে পারব।’ ওসমানী সাহেব যাচ্ছেন কিনা জিজ্ঞাস করায় তিনি বললেন-‘তিনিও যাচ্ছেন না’।’
.
অন্যদিকে ওসমানীর পি.আর.ও. নজরুল ইসলাম বলেছিলেন,
.
‘ঢাকার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুজিবনগর সরকারের পক্ষ থেকে কে উপস্থিত থাকবেন- এ নিয়ে যখন নানা গুজব ও কানাঘুষা চলছিলো, সে সময় জেনারেল ওসমানী কলকাতায় অনুপস্থিত। তিনি কোথায় গেছেন বা কোথায় ছিলেন তা কেউ ভাল করে জানেনও না। এমনকি আমিও জানি না। তার দপ্তরের কোন সামরিক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে মুখ খুলছেন না।
.
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের দু’দিন পর জেনারেল ওসমানী মুজিবনগর সদর দপ্তরে ফিরে আসেন। তাঁকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- ‘দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসাবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোন চেতনা এখনো জন্ম হয়নি। ঢাকায় আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। কারণ, এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টির পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল শ্যাম মানেকশ।
.
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশ্’কে রিপ্রেজেন্ট করবেন লেঃ জেনারেল অরোরা। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মানেকশ্ গেলে আমার যাবার প্রশ্ন উঠত। সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশ্র সমান। সেখানে মানেকশ্র অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা কোন দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার। আমি দুঃখিত, আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদার বড় অভাব।’
.
ব্রিটিশ গণতন্ত্রকে মডেল হিসেবে মনে করতেন ওসমানী। রাজনৈতিক শঠতা, কপটতার ধারেকাছেও তাঁর অবস্থান ছিলো না। আজীবন চিরকুমার ও অধূমপায়ী ছিলেন ওসমানী। শেষ জীবনে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে ঘুমাতেন। নিজের সব সম্পত্তি, পৈত্রিক সম্পত্তি মৃত্যুর আগেই বিলিয়ে দিয়েছেন ট্রাস্টের মাধ্যমে, যেন তা মানুষের কাজে লাগে।
.
আজ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এই কিংবদন্তী মহারথীকে। 🙏💞