‘এভাবে চলতে থাকলে মানুষের চুরি-ছিনতাই করা ছাড়া উপায় থাকব না’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর মোড়ে গিয়ে দেখা হয় বাদশা ও কামালের সঙ্গে। প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেলের চালকের সঙ্গে তাঁরাও বসেছিলেন সেখানে। এর মধ্যেই কিছুটা সময়ের জন্য কথা হয় তাঁদের সঙ্গে।

বাদশা বলছিলেন, ‘বিদ্যুৎ কোম্পানি থেকে চাকরি চলে যাওয়ার পর আর সোজা হইয়ে দাঁড়াইতে পারি নাই। একটার পর একটা বিপদ আসছে। মধ্যে করোনার কারণে কাজ না পাইয়া খাইয়্যা-না খাইয়্যা দিন কাটাইছি। এখন মোটরসাইকেল চালায়ে মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছিলাম। কিন্তু এর মধ্যেই তেলের দাম বাড়ায় বিপদে পইড়্যা গেলাম। এই ট্যাকার ঘাটতি কীভাবে মেটাব, সেটাই বুঝতেছিনা।’ তাঁর ভাষ্য, আগে ১০০ টাকার তেলে যে পথ যাওয়া যেত, এখন ১৫০ টাকার তেলেও তা সম্ভব নয়। এ ছাড়া বেশি ভাড়া চাইলে যাত্রীরাও উঠতে চান না। এর ফলে তাঁরা বেশ বিপাকে পড়েছেন।

পাশ থেকে কথা বলেন মো. কামাল। তিনি বলেন, ‘ধরেন, আগে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার তেলে ঢাকার ভেতরে সারা দিন মোটরসাইকেল চালাইতে পারতাম। সব খরচ বাদ দিয়াও আমগোর গড়ে এক হাজার টাকা থাকত। কিন্তু এখন সেই জায়গায় তেলই লাগব প্রায় ৭০০ টাকার। এর বাইরে অন্যান্য খরচ তো আছেই। তাইলে আমরা এখন বাঁচুম ক্যামনে। বেশি ভাড়া চাইলে যাত্রীরাও রাগ করে, উঠবার চায় না। আমরা যামু কই।’