এবার ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেনে ইউয়ান

এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির অনলাইন মাধ্যম রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস। এতদিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও জাপানের ইয়েন-এই পাঁচ বিদেশি মুদ্রা আরটিজিএসে স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিং হতো। এখন নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে চাইনিজ মুদ্রা ‘ইউয়ান’। আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের মুদ্রা আরটিজিএসে নিষ্পত্তি হবে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এসংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছে।
আরটিজিএস ব্যবস্থায় চাইনিজ ইউয়ান অন্তর্ভুক্ত করা প্রসঙ্গে সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় ক্লিয়ারিং কার্যক্রম আধুনিক, যুগোপযোগী ও তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে এফডিডি’র পরিবর্তে আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু হয়। এর মাধ্যমে ৫টি বৈদেশিক মুদ্রায় (মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও কানাডিয়ান ডলার) অটোমেটেড ক্লিয়ারিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরটিজিএস ব্যবস্থায় চাইনিজ ইউয়ান (সিএনওয়াই) অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি থেকে আরটিজিএস ব্যবস্থায় চাইনিজ ইউয়ান মুদ্রায় লেনদেন চালু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে ‘গাইডলাইনস অব এফসি ক্লিয়ারিং থ্রো বিডি-আরটিজিএস সিস্টেম’ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
নীতিমালায় আরটিজিএস পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোকে কী করতে হবে তা নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, পরিশোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টের ধরন উল্লেখ করতে হবে। একটি লেনদেনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ নিতে পারবে আরটিজিএস পদ্ধতিতে।

বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তঃব্যাংক তারল্য সুবিধা নেয়া যাবে না। লেনদেন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন (জিইএফটি) মেনে চলতে হবে। এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকে অর্থ পাঠানোর পর সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে সুবিধাভোগী হিসাবে অর্থ দিতে হবে। আর যদি সুবিধাভোগী হিসাবে অর্থ না নিতে পারে তাহলে ফেরত যাবে।
আরটিজিএস থেকে যেকোনো অঙ্কের পরিশোধ নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ১১ হাজার শাখার বেশির ভাগই এ ব্যবস্থায় যুক্ত রয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৩০৯টি লেনদেনের বিপরীতে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা নিষ্পত্তি হয়েছে। একই সময় ৬০ হাজার লেনদেনের বিপরীতে ১৯৭ কোটি ২০ লাখ  ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিষ্পত্তি হয়েছে।

মানব জমিন