৪ মাস আগের একটি ঘটনায় মামলা দায়ের করা কয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মামলাটিতে অভিযোগ আনা হয়েছে চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যু। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও হাসপাতালটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে এ ঘটনা ঘটলেও গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ও মৃত প্রসূতির স্বামী মো. এস এ আলম সবুজ। তার বাড়ি সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ভাউলিয়া পাড়া গ্রামে।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকের অবহেলায় তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঘটনাটি আপস করার কথা বলা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ নিজেও ঘটনাটি আপস করার কথা বলেন। এরপর দফায় দফায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা হলেও আপস হয়নি।
বাদী অভিযোগ করেছেন, শেষ পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ঘটনাটি আপস না করলে তিনি ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলেন। থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিলে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
মামলায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও ডা. জাফরুল্লাহ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকারকে।