
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরু মাত্র, তবে উত্তেজনার কমতি নেই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে। দুই দলের লড়াই এখন আর অন্য আট-দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো নয়, খেলাটা আটকে নেই শুধু জয়-পরাজয়ে, জল গড়িয়েছে বহুদূরে।
শক্তি, সামর্থ্য কিংবা অর্জনে যদিও বেশ সমৃদ্ধ ভারত, এগিয়ে বাংলাদেশের থেকে বহুগুণে; তবুও দুই দলের লড়াই এখন বেশ আগুনে। একপেশে বলার তো সুযোগ নেইই, সাধারণ একটা ম্যাচেও উত্তেজনার পারদ বাড়ে।
ব্যাতিক্রম নয় এবারো, উত্তেজনা ছড়িয়েছে আসরের শুরুর দিকেই। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দলের এই লড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উন্মাদনা যে আরো বাড়িয়ে দেবে তা বলাই যায়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচ গড়াবে দুবাইয়ে। রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে না যাওয়ায় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের দুবাইয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে আইসিসি।
বৃহস্পতিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়। সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে দুই দলের জন্যই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে ভারত চাইবে স্বাভাবিক খেলা খেলতে, বাংলাদেশ চাইবে অঘটন।
দুই দেশের ৩৭ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও, ভারত ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে মাত্র একবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৭ সালের সেই আসরে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল টাইগারদের।
এবার খুব ভালো সুযোগ সেই হারের প্রতিশোধ নিতে। সাকিব-তামিম না থাকলেও সেই দলে থাকা ছয়জন আছেন এবারের স্কোয়াডেও। তাদের নিয়েই ভারত বধের ছক আঁকবেন ফিল সিমন্স। যদিও তা সহজ হবে না মোটেও।
পরিসংখ্যান বলছে, বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশ ভারতকে হারাতে পেরেছিল একবারই, ২০০৭ সালে। এর আগে পরে আর কখনো আসেনি সুযোগ। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে একাধিকবার ভারত বধ করলেও টুর্নামেন্টে আর জয় আসেনি আসি আসি করেও।
দু’দলের মুখোমুখি দেখায় সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে থাকলেও সবমিলে ঢের এগিয়ে ভারত। ৪১ দেখায় ৩২ জয় টিম ইন্ডিয়ার। বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৮টি ম্যাচে।
ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন সাকিব আল হাসান। ২২ ইনিংসে ৭৫১ রান তার। তবে তিনি এবারের দলে নেই। যদিও মুশফিকুর রহিম আছেন, ভারতের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচে ৭০৩ রান আছে যার।
বল হাতে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেটও সাকিব আল হাসানের। ২২ ম্যাচে ২৯ উইকেট তার। তাছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট ও তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯১০ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ১৭ ইনিংসের ৭৮৬ রান করেছেন রোহিত শর্মা। সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট নেম রাবিন্দ্র জাদেজা। ১২ উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
পরিসংখ্যান যেমনই হোক, বাংলাদেশ ও ভারত লড়াই একপেশে বলার তো সুযোগ নেই। সাধারণ একটা ম্যাচেও উত্তেজনার পারদ বাড়ে। ফলে আজ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের অপেক্ষায় দর্শকরা।