এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে, সে জন্যই একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ (কঠোর আইন) তৈরি করছে সরকার। বর্তমানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন রিজভী।

গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে বলেন, মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বন্ধে কিছু আইন সংসদে আনা হবে। তবে সরকার কোনোভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করবে না। ওই দিন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। অবশ্য কবে নাগাদ এবং কয়টি নতুন আইন সংসদে তোলা হবে, তা আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেননি।

আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে আজ রিজভী বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের মিথ্যা জয়গান প্রচার করেও শান্তি পাচ্ছে না সরকার। তারপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে, সে জন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ডামি নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন। দেশে মতপ্রকাশ বা বাক্‌স্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষকে যেভাবে মামলা ও জেল-জুলুম ভোগ করতে হয়েছে, এবার জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। ডামি সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা করতে পারবে না।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

নতুন আইন করার ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী আরও বলেন, ‘এর অর্থ হলো নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত।’

রিজভী বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কলুষিত করে জবাবদিহিহীন অসীম ক্ষমতাশালী ডামি সরকার মানুষের ন্যূনতম অধিকার দিতে রাজি নয়। এদের কাছে জনগণ নিতান্তই গৌণ, উপেক্ষিত ও তাচ্ছিল্যের একটি বিষয়।

Prothom Alo