এক সর্দারজীর ফ্যামিলি প্ল্যানিং এবং রকিবদের জন্ম
======================
এক সর্দারজীর মাথায় ঢুকছে না , কেন তাদের আবারও সন্তানের জন্ম হলো ? কারণ ডাক্তার আপা যেভাবে কায়দা কানুন শিখিয়ে দিয়েছিলেন, সে হুবহু তাই অনুসরন করেছে । ডাক্তার আপা ডানহাতের বুড়ো আঙুলে বেলুনটি পরিধান করে দেখিয়েছিলেন , তিনিও একশত ভাগ তেমন করে পরেই দাম্পত্য কর্মটি করেছিলেন । কাজেই গলদটি কোন জায়গায় হয়েছে , তা ঠাহর করতে পারছে না ।
দেশের সুশীল সমাজ সহ পুরো জাতি চায় এদেশে যেন আর রকিবদের মত নির্বাচন কমিশনারের পয়দা না হয়। তজ্জন্যে পুরো দেশের সুশীল সমাজ ও রাষ্ট্র বিরাট প্রস্তুতি নিয়েছে । যে করেই হোক , এবার ঘিলা-কলিজা -মেরুদন্ড বিহীন রকিবদের জন্ম প্রতিরোধ করতেই হবে । সর্দারজীর মতই আমাদের সকলের কঠিন প্রত্যয় ! আরও টাইট করে বেলুনটি বাঁধতে হবে । ডাক্তার আপা এই টাইটফিট শব্দটিই উচ্চারণ করেছিলেন । লাজুক ও মিষ্টি একখানা হাসি দিয়ে ডাক্তার আপা বলেছিলেন , টাইটফিট না হলে কিন্তু কাজ হবে না । সর্দারজীর স্পষ্ট মনে আছে ।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩১টি দলের সাথে সংলাপ করে একটি অত্যন্ত টাইট সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছেন । সার্চ কমিটির চেহারা দেখে জাতির গলা শুকিয়ে গেছে । সঙ্গত কারণেই এই সার্চ কমিটির প্রতি বিএনপি তাদের অনাস্থা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং এই ছয়জনের কে কোনভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত/অনুগত তাও তুলে ধরেছে । তবে ছয় ছয় বার আওয়ামীলীগের টিকেটে এমপি হয়ে যিনি বঙ্গভবনের অধিবাসী হয়েছেন , দলীয় চিন্তার বাইরে যিনি কখনই কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন নি , বিভিন্ন সংকটে জাতির অভিভাবক হিসাবে যার নূ্যনতম কোনও ভূমিকা চোখে পড়ে নি , তাঁর প্রতি বিএনপি বোধহয় একটু বেশি আশা করে ফেলেছিল । লিখিত ভাষণের বাইরে মাঝে মাঝে নিজের সংসার ও নানা সুখকর অনুভূতি নিয়ে স্বভাব-সুলভ ঠাট্টা মশকরা করলেও জাতির দিকনির্দেশনামূলক কোনও কথা তিনি কস্মিনকালেও উচ্চারণ করেন নি ।
নমুনা দেখে ইতোমধ্যে জাতি মালুম করে ফেলেছে যে ঘিলা-কলিজা-মেরুদন্ডবিহীন রকিবদের জন্ম ঠেকানো যাবে না । তবে সার্চ কমিটির কাজের উত্সাহে এখনও কোনও ভাটা পড়ে নি । বিশেষ করে এদেরকে নিয়ে এক শ্রেণীর মিডিয়ার আগ্রহ সীমাহীন । এই সার্চ কমিটির সঙ্গে সহযোগিতা না করে বিএনপি কী মারাত্মক ভুল করেছে , সেই জিকির তোলার গ্রাউন্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে । এই জিকিরে বরাবরের মতই তথাকথিত বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবীদের সাথে পাওয়াই এই সব মিডিয়াজীবীদের লক্ষ্য ।
প্রত্যাশার বেলুনটিকে আরো টাইট করে বাঁধার জন্যে দেশের বারো জন বিশিষ্ট ও নিরপেক্ষ ব্যক্তির পরামর্শ নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে । এই বারোজনের মধ্যে কয়েকজন আবার এক এগারোর জরুরি সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে জাতিকে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছেন । দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে এই বারোজনের সাকুল্যে বারো ঘন্টার রাতের ঘুম নষ্ট হয়েছে কি না , সেটাও গবেষণার ব্যাপার ।