যুগান্তর প্রতিবেদন
এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম আরও দেড় টাকা বাড়িয়েছে। ফলে এখন ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা করে। এক মাস আগে ছিল ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বাড়তি দর কার্যকর করেছে। ওইদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে নতুন দামে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ আরও বাড়বে। কেননা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমদানির দায় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে।
এর আগে ২ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম দেড় টাকা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা করে। ২ মের আগে তারা ডলার বিক্রি করত ১০৩ টাকা করে।
বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ডলারের নতুন দাম কার্যকর করেছে। ওইদিন থেকে রপ্তানি বিল এক টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ও রেমিট্যান্স ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে কিনছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার কেনার খরচ বেড়ে যাবে। ফলে সোমবার থেকে আমদানিতেও ডলারের দাম বেড়ে যাবে। এতে আমদানির খরচ বাড়বে।
এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমল ৫ কোটি ডলার : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও সামান্য কমেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৫ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৯২ কোটি ডলার। এর এক সপ্তাহ আগে ২৫ মে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ায় রিজার্ভ কমছে। এক বছরের হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ডলার। গত বছরের ৩১ মে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ২২০ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স কমেছে ১০ শতাংশ : চলতি অর্থবছরের মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ডলার। গত বছরের একই মাসে এসেছিল ১৮৮ কোটি ডলার। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্স ১ কোটি ডলার বেড়েছে। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৯ কোটি ডলার।
এদিকে রেমিট্যান্স কমায় রিজার্ভে চাপ আরও বাড়তে পারে। কারণ রেমিট্যান্স কমায় ব্যাংকে ডলারের প্রবাহ কমে যাবে।