এক বছরেই ৫০০ কোটি ডলার দান করেছেন বিল গেটস

Transparent Newspaper Clipping Clipart - Prothom Alo Logo ...

বাণিজ্য ডেস্ক

দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যান ও জন ডোয়ের। তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত বেনিফিকাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছেন। টেকসই উন্নয়নবিষয়ক এক গবেষণা সংস্থায় তাঁরা এই অনুদান দিচ্ছেন।

ফ্রেড হাচিনসন ক্যানসার সেন্টারে ৭১ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মা জ্যাকি ও সৎবাবা মাইক বেজোস। ৩৬টি গবেষণা ল্যাব ও অতিরিক্ত গবেষণা অবকাঠামো তৈরিতে এই অনুদান দিয়েছেন তাঁরা। তবে দাতা হিসেবে বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেট যতটা পরিচিত, তাঁরা তার ধারেকাছেও নেই।

তবে ৯২ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেটকে কখনো দূরে রাখা যায় না। গত বছরও দাতাদের তালিকায় তাঁর স্থান তৃতীয়। সুসান টমসন বাফেট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই দান করছেন তিনি। এই ফাউন্ডেশন নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। এ ছাড়া নেব্রাস্কার কলেজছাত্রদের বৃত্তি দেয় তারা।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, এই দানের অর্থ পেয়েছে মূলত বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে আছে তিনটি বেসরকারি ফাউন্ডেশন ও সমসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়। টেকসই পরিবেশ, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ও স্টেম সেল নিয়ে গবেষণায় এসব দান করা হয়েছে।

এই দানের মধ্যে দুটির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি। আট দাতার মধ্যে অন্তত ছয়জন শত শত কোটি ডলারের মালিক। এই ছয় দাতার সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৩২৫ বিলিয়ন বা ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

বিষয় হচ্ছে, একশ্রেণির মানুষের হাতে বিপুল ধনসম্পদ জড়ো হবে আর তাঁরা রাষ্ট্রকে কর দেওয়া ছাড়াও সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে দান করবেন, এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, এ ব্যবস্থা একজন মানুষকে শতকোটি ডলারের মালিক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, তাতে নিঃসন্দেহে অনেক গলদ আছে। এমনকি বিল গেটস নিজেও একবার বলেছিলেন, এত অর্থের মালিক হলাম কী করে? প্রকৃতপক্ষে, ব্যবস্থায় গলদ আছে বলেই আমি এত সম্পদের মালিক হতে পেরেছি।

বিল গেটসের এ কথার সত্যতা আছে। নিউইয়র্কভিত্তিক প্রোপাবলিকা নিউজ সাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেরদের আয়কর ফাঁকি দেওয়ার বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে গত বছর। এতে দেখা যায়, ২০০৭ ও ২০১১ সালে আমাজন প্রধান জেফ বেজোস কোনো আয়কর দেননি। অন্যদিকে টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে আয়কর দেননি। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২৫ ধনী যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের তুলনায় গড়ে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম কর দেন।