একরাম হত্যা-সিনহা হত্যা এবং হুকুমের আসামি প্রসঙ্গ


বহুল আলোচিত মেজর সিনহা হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। বিচারিক আদালত ওসি প্রদীপ এবং পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যান্য আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। মেজর সিনহার পরিবার বিচারিক আদালতের এই রায়ে আংশিক খুশি। অন্য দিকে, দ্রুততম সময়ে এই মামলার রায় ঘোষণার পর টেকনাফ অঞ্চলে ওসি প্রদীপের কার্যকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া প্রায় দেড় শতাধিক ক্রসফায়ারের ফলে যে নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশে নিদারুণ হাহাকার সৃষ্টি করেছে সেই হাহাকার আক্রান্ত আদম সন্তানরাও বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিশেষ করে ইতিহাসের বর্বরতম উপায়ে যেভাবে টেকনাফের জনপ্রিয় পৌর কাউন্সিলর একরামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকারের জন্য নিহত একরামের পরিবার নতুন করে কান্নার রোল তুলেছে।

উল্লিখিত অবস্থায় আপনি যদি পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে চান তবে সবার আগে কতগুলো প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। প্রথমত, মেজর সিনহার পরিবার কেনো আংশিক খুশি হলো? এর জবাবে আপনি যেমন বলতে পারেন যে, এটি বিচারিক আদালতের রায় যা কার্যকর হওয়া সময়সাপেক্ষ এবং সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক এই রায় গৃহীত এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত মেজর সিনহার পরিবার পরিপূর্ণভাবে খুশি হতে পারে না। এর বাইরে এ কথাও বলা যেতে পারে যে, বিচারিক আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে যে, সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। এখন প্রশ্ন হলো- এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে কি কেবল সাজাপ্রাপ্ত আসামিরাই যুক্ত নাকি তাদের সঙ্গে আরো বড় বড় দেশী-বিদেশী রাঘববোয়াল জড়িত রয়েছে? মামলার বিবরণে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ হিসেবে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের জন্য যে প্রেক্ষাপট-পরিস্থিতি দরকার তা মিল ঘটানো বলতে গেলে অসম্ভব। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য একটু বিস্তারিত আলোচনা আবশ্যক।

সিনহা হত্যাকাণ্ডকে যদি আপনি অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় বিশ্লেষণ করতে চান এবং আইন বিজ্ঞান অর্থাৎ জুরিসপ্রুডেন্সের নীতিমালা দ্বারা অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে নিহত সিনহার মেজর পরিচয় এবং তার কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওসি প্রদীপের পদমর্যাদা এবং তার কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ পুলিশকে একত্র করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অপরাধের ধরন-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে হবে। আমাদের দেশে যেসব রাষ্ট্রীয় বাহিনী রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীকে অলিখিতভাবে সুপ্রিম বাহিনী হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে সেনাবাহিনীর কোনো সাবেক অথবা বর্তমান কর্মকর্তাকে পরিকল্পনা করে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করে হত্যা করবে এটা অসম্ভব এবং অকল্পনীয়। অথচ ওসি প্রদীপ সেটাই করেছে।

সিনহা হত্যাকাণ্ড যদি পরিকল্পিত হয় তবে সেই পরিকল্পনা ওসি প্রদীপ এবং তার সহযোগী লিয়াকতগং করেছে এটা রীতিমতো অসম্ভব বিষয়। অথবা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ওসি প্রদীপের দুর্নীতি এবং মেজর সিনহার নির্মিতব্য ইউটিউব ভিডিওর ‘আষাঢ়ে গল্প’ বিশ্বাসযোগ্য নয়। অতীতকালের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাথে প্রশাসনের মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত জড়িত থাকার প্রমাণ যেভাবে আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে ঠিক একইভাবে সিনহা হত্যার পরিকল্পনাকারীদের যদি খোঁজা হয় তবে এমন রাঘব-বোয়ালদের নাম আসার সম্ভাবনা রয়েছে যা বাংলাদেশের অপরাধ জগতে নতুন এক মাইলস্টোন তৈরি করবে।

আমি সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে ধন্যবাদ জানাব এ কারণে যে, আদালত তার রায়ে হত্যাকাণ্ডটিকে যেভাবে পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন তা অনাগত দিনে এই মামলার গতি-প্রকৃতি এবং বিস্তৃতি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত পরিকল্পনাকারীদের দিকে ধাবিত করে নিয়ে যাবে। অনাগত দিনে খুঁজে বের করা হবে যে, আলোচিত হত্যাকাণ্ডটির মোটিভের সাথে অভিজিৎ অথবা হলি আর্টিজান ট্রাজেডির কোনো আন্তঃসংযোগ রয়েছে কিনা। অথবা পরিকল্পনাকারীরা কি কেবল পুলিশের সদস্য নাকি তাদের সাথে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা জড়িত ছিল? তারা কি সবাই দেশী নাকি তাদের সাথে কোনো বিদেশী পরিকল্পনাকারী ছিল? সিনহা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পরিকল্পনাকারীরা কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল নাকি সরকারকে ভয় দেখিয়ে কোনো স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা ছিল?

মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়ে আমি আরো অনেক কিছু বলতে পারি। কিন্তু আজকের নিবন্ধের পরিধি না বাড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য উদ্দেশ্য এবং অপরাধ জগতের চেইন অব কমান্ড নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরি। একই সাথে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাও অত্যন্ত জরুরি যে, কেন সিনহা হত্যার মতো অন্যান্য ক্রসফায়ারের মাধ্যমে যাদের হত্যা করা হয়েছে সেগুলোর বিচার হবে না? বিশেষ করে সর্বজনের আলোচনায় নিরপরাধ বলে বিবেচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর একরামকে যেভাবে পুরো জাতিকে সাক্ষী রেখে হত্যা করা হয়েছে এবং সেই হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত ব্যক্তির আর্তচিৎকার, হত্যাকারীর গুলির শব্দ এবং একরামের কন্যার গগনবিদারী আহাজারির শব্দ দেশবাসী যেভাবে শুনেছে এবং যেভাবে পুরো দেশ রাগ-ক্ষোভ-আতঙ্কে ফুঁসছে তাতে করে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে রাষ্ট্রীয় সংহতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।

সিনহা হত্যাকাণ্ড-একরাম হত্যাসহ পুলিশের নানাবিধ কুকর্ম সম্পর্কে যদি আপনি অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান তবে দুর্নীতিবাজ পুলিশদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট এবং সেই সিন্ডিকেটের গডফাদারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনাকে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল হতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে, এই সিন্ডিকেটটি এতটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দুর্নীতির টাকা পয়সা একেবারে নিম্নস্তর থেকে ঊর্ধ্বস্তরে এতটা নিখুঁতভাবে বণ্টিত হয় যা বাংলাদেশের অন্য কোনো দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট তো দূরের কথা- বিশ্বের নামকরা সব মাফিয়া সাম্রাজ্যেও এতটা দক্ষতাসহকারে দুর্নীতির টাকার বিলি বণ্টন হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, দুর্নীতির রাজ্যে গডফাদারদের মধ্যে মারামারি হানাহানি হয় এবং দুর্নীতির টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতে গিয়ে একপক্ষ অপরপক্ষকে প্রায় ঠকানোর চেষ্টা করে। ফলে ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতিবাজদের মধ্যে মারামারি এবং খুনোখুনির মতো ঘটনাও ঘটে যায়।

আপনি যদি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যেসব ভিক্ষুক ভিক্ষা করেন, যারা ছিনতাই-চাঁদাবাজি করে, যেসব ভ্রাম্যমাণ পতিতা খরিদারের জন্য সেজেগুঁজে বিকাল থেকেই রাজপথে টহল দেয়, যেসব হকার, ফেরিওয়ালা, রিকশাওয়ালা, ঠেলাগাড়িওয়ালাসহ হাজারো শ্রেণী-পেশার মানুষ রাজপথে কাজ করে দু’মুঠো অন্নের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে, যেসব ভুক্তভোগীর নিকট থেকে মামলা-ক্রসফায়ার-গুম-হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয় এবং অন্যান্য লক্ষাধিক খাত যথা পরিবহন-নির্মাণ-চোরাচালান-মাদক প্রতিপক্ষের সাথে দ্ব›দ্ব সংঘাত ইত্যাদি খাত থেকে দৈনিক দুই টাকা থেকে শুরু করে শত কোটি টাকা আদায়ের যে বিরাট হিসাব তা সন্ধ্যা ৭টা-৮টার মধ্যে নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা হয় এবং একইভাবে যার যা প্রাপ্য তা সঠিক জায়গায় প্রতিশ্রুতি মতো পৌঁছে দেয়া হয়।

পুলিশের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সাথে অন্যান্য দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এই সিন্ডিকেটে প্রচুর বহিরাগত দালাল-ফড়িয়া কাজ করে এবং তারা প্রতিশ্রতি অনুযায়ী অনুদান পায়। দ্বিতীয়, দুর্নীতির টাকা হজম করা এবং নির্ভয়ে আমৃত্যু সমাজে বুক ফুলিয়ে চলার নিরাপত্তা এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের রয়েছে। তারা দুর্নীতির টাকা দিয়ে বাড়ি-গাড়ি-জমি-জিরাত ক্রয় করার পাশাপাশি বিদেশে অর্থ পাচারের যে রেকর্ড করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন করার মতো সাহস যেন কোনো সংস্থার বা কর্তৃপক্ষের না হয় সেজন্য তারা অদ্ভুত এক সেইফ গার্ড সফটওয়্যার চালু রেখেছে।

কারণগুলো একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত হয়ে পুরো সিন্ডিকেটের ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে যে, একরাম হত্যাসহ আরো দেড়শত হত্যাকাণ্ড ঘটার পরও সেগুলোর বিচার তো দূরের কথা, মামলা দেয়ার অনুমতিও কপালে জুটছে না ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। সিনহা হত্যার বিচার দ্রুততম সময়ে হয়েছে এবং অভিযুক্ত প্রদীপ ও লিয়াকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেবলমাত্র এ কারণে যে, সিনহা ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তার হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল তার চেয়েও বেশি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল একরাম হত্যার ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর। কিন্তু বাংলাদেশের নির্মম বাস্তবতা হলো-এই দেশে একরামের মতো রাজনৈতিক কর্মী বা নেতাকে যত সহজে গুম-হত্যা করে হজম করা যায় তা অন্য কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষের ক্ষেত্রে করা সম্ভব হয় না।

আজকের দিনের আওয়ামী লীগ-জামায়াত-বিএনপি বা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে যেকোনো মিথ্যা মামলায় যেভাবে ফাঁসানো যায়- যেভাবে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা যায় অথবা কোনো কারণ ছাড়াই যেভাবে অপদস্ত করা যায় তা অন্য কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। বিশেষ করে আমাদের বাহিনীগুলোতে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অপরাধ করে তবে সেটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বানিয়ে অপকর্মের হোতাদের বাঁচানোর জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কায়েম করে ফেলা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির দাপট এবং দুর্নীতির উল্লাসনৃত্য জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। রাজনীতির ময়দানে ইদানীংকালে যেভাবে হুকুমের আসামি থিওরি প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং যারা এই কাজ করছে তারা নিজেদের অবচেতন মনে রাজনীতিবিদদেরকে নিজেদের মতো মনে করছে। অর্থাৎ ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতরা যেভাবে তাদের গডফাদারদের হুকুমে যাবতীয় কুকর্ম করে থাকে এবং কুকর্মজাত অর্থ-বিত্ত-পণ্য যেভাবে বিশ্বস্ততার সাথে হুকুমদাতার নিকট পৌঁছে দেয় ঠিক সেইভাবে তারা মনে করে যে, রাজনীতিবিদরাও তাদের মতো শলাপরামর্শ করে সব কাজ করে থাকে এবং এই ধারণার বশবর্তী হয়েই তারা ‘হুকুমের আসামি’ নামক তত্ত¡টি নিয়ে হাল আমলে বাড়াবাড়ি করে দেশের কোর্ট কাচারিতে রীতিমতো ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করে ফেলেছে।

আমরা আজকের নিবন্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এবার আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে সংক্ষেপে আমার বক্তব্য পেশ করে নিবন্ধের ইতি টানব। আমি সিনহা হত্যার বিচারিক আদালতের সাথে একমত যে, এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত এবং এই হত্যাকাণ্ডের এক বা একাধিক হুকুমদাতা রয়েছে। সুতরাং যতদিন পর্যন্ত এসব হুকুমদাতাকে মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা না হবে ততদিন পর্যন্ত নিহত সিনহার পরিবারের মুখে পূর্ণাঙ্গ খুশির ঝলক দেখা যাবে না। দ্বিতীয়ত, এসব হুকুমের আসামিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না গেলে অনাগত দিনে সিনহা হত্যাকাণ্ডের মতো আরো অনেক ঘটনা ঘটবে এবং একরাম হত্যার ঘটনা অপরাধীদের জন্য ডালভাতে পরিণত হবে। নিহত একরামের পরিবারের অশ্রুজলের মূল্য দেয়া না হলে অনাগত দিনে এই জনপদে অগণিত ভুক্তভোগীর অশ্রুজলের নদী সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং প্রকৃতির মহিমায় সেই অশ্রুজলের নদীতে প্রদীপের মতো অপরাধী এবং তার হুকুমদাতারা যে কিভাবে ডুবে মরবে তা অবলোকন করার জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য