- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ মে ২০২২, ২০:৫৬
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার যে জনগণের শক্রপক্ষ- সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারো প্রমাণিত হলো। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল (বৃহস্পতিবার) সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি একটি নজীরবিহীন ঘটনা। যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এই ঘটনায় জনগণকে চরম হয়রানীর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব সয়াবিন তেলের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধির এই ‘গণবিরোধী’ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে ভোজ্যতেল সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাণিজ্য সচিবের সাথে মিল মালিকদের বৈঠকের পর এক লাফে প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করাটা- সরকারের চরম গণবিরোধী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ। ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন কাজের জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য।’
‘ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো একটি অতীব প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার নিজেদের গোষ্ঠীর স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। অথচ আশেপাশে কোনো দেশেই ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দী করে রাখতে চায়।’