এইসব ‘ডক্টর’ লইয়া আমরা কী করিব

এইসব ‘ডক্টর’ লইয়া আমরা কী করিব

সিরাজুল ইসলাম

মতিউর, বেনজির আর আজিজ। তাঁদের জীবনালেখ্য নিয়ে গবেষণায় এখন দেশ গরম। তবে একটি বিষয় কেউ লক্ষ করেছেন কি না জানি না—এঁরা সবাই ডক্টরেট ডিগ্রিধারী।

কথায় আছে, ‘গাছেরটা খাওয়া আর তলারটাও কুড়নো।’ সাফল্যমণ্ডিত কর্মময় জীবনে দোর্দণ্ড প্রতাপ, ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় পদক ও অর্থবিত্তের বিপুল সম্ভারের পরও যেন তাঁদের বুকে একটা শূন্যতা রয়ে যায়। আর তা হচ্ছে একটা ডক্টরেট বা পিএইচডি ডিগ্রি! নামের আগে ড. যোগ।

এত প্রাপ্তিযোগের পর এ খায়েশটি তাহলে কেন অপূর্ণ থাকবে? এটাও খেতে হবে। লুৎফর রহমান রিটনের সেই বিখ্যাত ‘খিদে’ কবিতার মতো।

ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা আসল পিএইচডি করতে গেলে ‘মাথার ঘাম পায়ে ফেলে’ কষ্ট করতে হয়।

পিএইচডি আমলের রাত জাগার বদভ্যাসের জেরে আজও আমি ‘ইনসমনিয়া’তে ভুগছি। আর তাঁরা এই ডিগ্রিগুলো করেন হেসে-খেলে। দু-চার পাতা ‘অভিসন্দর্ভ’ যা লিখেন, তা–ও লিখে দেওয়ার লোক আছে। ডিগ্রি দেওয়ার জন্য লাইন ধরে আছে সুপারভাইজার। সুপারভাইজাররাও শুনেছি দেশখ্যাত। অনেকে আবার টাকা দিয়ে ভুয়া ডিগ্রি কেনেন।

শুধু তা–ই নয়, শেষজীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্যও তাঁরা উঠেপড়ে লাগেন। আমার বিশ্ববিদ্যালয়কেও প্রায়শই এ ধরনের ঠেলা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়!

এত খাওয়ার পর, ছা–পোষা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকদের চাকরিটাও খেতে হবে! ওখানেও ‘উড়ে এসে জুড়ে বসতে চান তারা’।

পিএইচডি কী, কাকে দেওয়া যায় এবং এর মান

ডক্টরাল ডিগ্রি, যা পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসফি) হিসেবে অধিক পরিচিত। কিন্তু তা ডিলিট, ডিএসসি, ডিইঞ্জি, ডিফিল বা ডিবিএ—এ ধরনের অনেক নামেও হতে পারে।

এদের মধ্যে কোর্সের ধরন অনুযায়ী মর্যাদার রকমফেরও আছে। তবে পাঠকের সুবিধার্থে, এখানে সব ডক্টরাল ডিগ্রির প্রতিশব্দ হিসেবে পিএইচডি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

ঐতিহাসিকভাবে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্ল্যাসিক্যাল পিএইচডি মূলত গবেষণানির্ভর। এতে গবেষণাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অর্থাৎ একটি গ্রহণযোগ্য মানের গবেষণা অভিসন্দর্ভ, যাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কিছু মৌলিক আবদান রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোর্স করা বাধ্যতামূলক নয়, তবে সুপারভাইজারের পরামর্শে গবেষণা-সংশ্লিষ্ট কিছু কোর্স ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে ‘অডিট’ করতে হতে পারে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আধুনিক পিএইচডি ধারণাতে নির্দিষ্টসংখ্যক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। অনেকটা ৫০-৫০। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই উভয় ধারাই বিদ্যমান কিংবা মিশ্রণ।

কোর্সভিত্তিক পিএইচডিতে আপনাকে ক্লাসে উপস্থিত থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক কোর্স ভালো গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে। এর পাশাপাশি আছে গবেষণা। ফলে এখানে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কম।

এরপরও কোর্স পাস করার পর গবেষণা অংশটি অধিক চ্যালেঞ্জিং। যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর লোক পাবেন, যাঁরা নিজেদের ‘এবিডি’ বলে পরিচয় দেন। এর মানে হচ্ছে ‘অল বাট ডিসার্টেশন’। অর্থাৎ সব কোর্স শেষ করেছেন কিন্তু গবেষণা শেষ করতে পারেননি। ফলে ‘পিএইচডি’–এর পরিবর্তে মনের সান্ত্বনার জন্য নিজেদের আবিষ্কার ‘এবিডি’।

গবেষণানির্ভর পিএইচডির ক্ষেত্রে আবার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হচ্ছে যে, গবেষণাটি গ্রহণযোগ্য মানের হয়েছে কি না, তা বুঝবেন কীভাবে?

হ্যাঁ, এখানে যথেষ্ট ‘সাবজেক্টিভিটি’ আছে। মূলত সুপারভাইজার ও পরীক্ষক দল যদি মনে করে গবেষণাটি গ্রহণযোগ্য মানের হয়েছে, তাহলেই হলো।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপারভাইজারের মানের ওপর এটি নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার গবেষণার ফলাফল সেমিনার আকারে একদল গবেষকের সম্মুখে উপস্থাপন করতে হবে। অভিসন্দর্ভের লেখার মানও ‘সন্তোষজনক’ হতে হবে।

সর্বোপরি যে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিভাগ থেকে ডক্টরাল ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, তার অনুমতি থাকতে হবে এ ধরনের ডিগ্রি দেওয়ার। সুপারভাইজারকেও একটি নির্দিষ্ট মানের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।

সুপারভাইজারসহ পরীক্ষক দলটিতে বিভিন্ন বিভাগ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সদস্য থাকতে হবে ইত্যাদি। এসব আয়োজনের মাধ্যমেই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয় যেন ভুয়া ডিগ্রি কেউ না নিতে পারেন।

তবে আজকাল এই কাজটি সহজ করার জন্য কিছু ‘অবজেকটিভ’ উপায়ও অবলম্বন করা হয়ে থাকে। পিএইচডি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে কিছু ভালো মানের জার্নালে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি কিছু প্রবন্ধ প্রকাশ করছেন, ততক্ষণ পিএইচডি পাচ্ছেন না!

তবে এখানেও ঝামেলা আছে—ভুয়া বা ‘প্রিডেটরি’ জার্নাল। টাকা দিলে পেপার পাবলিশ করে দেবে। আছে ভুয়া বা ‘প্রিডেটরি’ কনফারেন্সও। তাই ভালো মানের জার্নাল হতে হবে।

আর এই মান নিরূপণেরও কিছু উপায় আছে। যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কোনো জার্নালকে আপনি তখনই ভালো মানের বলবেন, যদি তা ‘স্কুপাস’ বা ‘ওয়েব অব সায়েন্স’–এর তালিকাভুক্ত হয়।

একইভাবে কলা, মানবিক কিংবা বাণিজ্যেও এ ধরনের তালিকাভুক্ত জার্নাল আছে। একইভাবে জার্নালের মানের মাত্রা নিরূপণে দেখতে পারেন সাইটেশন স্কোর, ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ইত্যাদি।

পিএইচডির আরেকটি ধরন হচ্ছে ‘সম্মানসূচক পিএইচডি’। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন স্কুলপলাতক। প্রথাগত পদ্ধতিতে পিএইচডি দেওয়া তাঁকে সম্ভব নয়। অথচ তাঁর কর্ম নিয়ে গবেষণা করে কম করে হলেও হাজারখানেক পিএইচডি করেছেন এ পর্যন্ত হয়তোবা। সম্মানসূচক ‘ডিলিট’ (ডক্টর অব লিটারেচার) ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল তাঁকে।

ভুয়া পিএইচডি তাহলে কী

ভুয়া পিএইচডির ধরন হতে পারে বেশ কয়েক রকম।

এক.

যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন, তা আসলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই না বা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পিএইচডি দেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত নয়;

দুই.

যে গবেষণা করেছেন, তা পিএইচডি পাওয়ার যোগ্য নয় কিংবা পর্যাপ্তসংখ্যক গবেষণা প্রবন্ধ লিখতে পারেননি

তিন.

গবেষণা চুরি করেছেন

চার.

অখ্যাত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্মানসূচক পিএইচডি ইত্যাদি।

মতিউরের ডিগ্রিটি কোথা থেকে নেওয়া তা ইন্টারনেটে অনেক খুঁজেও বিস্তারিত পেলাম না। তবে তাঁকে নিয়ে একটি অখ্যাত পত্রিকা ‘সততা একজন কর্মকর্তার মূল্যায়নের মূল চাবিকাঠি—ড. মতিউর রহমান’ নামে একটি লেখা ছেপেছে। লেখাটি মূলত তাঁর স্তুতিমূলক। তিনি কত জ্ঞানী, উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মকর্তা, ইত্যাদি।

লেখাটির এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রিস্টস ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রিস্টস ইউনিভার্সিটি নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আছে বলে আমার জানা নেই, নেট দুনিয়াতেও পেলাম না।

হ্যাঁ, কাছাকাছি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

এক.

বিশ্বখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়

দুই.

প্রিস্টন বা প্রেস্টন (Preston) বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। দৈবচক্রে এই প্রিস্টন বা প্রেস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি নামধারী অন্তত দুজন বাংলাদেশিকে আমি জানি। একজন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও আরেকজন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার। মাত্র ৩০০০ ডলারের বিনিময়ে বাড়ি থেকে একটি নামমাত্র ‘অভিসন্দর্ভ’ লিখে তাঁরা এই ডিগ্রি কিনেছেন।

লোক হিসেবে খারাপ নন, এমন একজন তো স্বীকারই করলেন যে নিছক শখের বশে তিনি এটি করেছেন। জনৈক পাকিস্তানি ধান্দাবাজ যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানা দিয়ে এই নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুললেও তা পরবর্তী সময়ে ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের যে কটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অ্যাক্রিডিটেড’ হতে হয়, তার কোনোটির অন্তর্গত এটি নয়।

কর্তৃপক্ষ অনেক খুঁজেও কোনো ঠিকানাতেই তাদের ধরতে পারেনি। ধারণা করা যেতে পারে যে এটিই মতিউরের সেই বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যথায় ওই অখ্যাত পত্রিকাটি যেভাবে তাঁর গুণ-জ্ঞান বর্ণনা করে লেখাটি লিখেছে, তাতে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল হওয়ার কথা নয়।

বিশ্বখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রিধারী হলে এত দিনে তিনি নেট দুনিয়া কাঁপিয়ে হইচই ফেলে দিতেন।

অন্যদিকে সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানের পিএইচডি ও ডিবিএ ডিগ্রি নিয়ে গত ২৩ জুন, ২০২৪ একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন কলামিস্ট নাদিম মাহমুদ।

এ থেকে অনেকটাই প্রমাণিত যে, তাঁদের ডিগ্রিগুলো প্রশ্নবিদ্ধ। উল্লেখ্য, তাঁদের দুই সুপারভাইজারও বেশ বিখ্যাত।

বাংলায় একটি কথা আছে, ‘রতনে রতন চেনে’। সম্ভবত আমাদের মতো ‘আদার ব্যাপারীর এ ধরনের জাহাজের খবর’ নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো।

নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো ডক্টরাল ‘অভিসন্দর্ভ’  বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে উন্মুক্ত থাকে যে কারও পড়ার জন্য। আমি যেহেতু এগুলো পড়িনি, তাই মন্তব্য করতে পারছি না।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে একজন মধ্যম সারির বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হলো।

যুক্তরাজ্যের একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পিএইচডি করছেন। এখনো শেষ করতে পারেননি। তাঁর নাকি বাংলাদেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কিছু পিএইচডি ‘অভিসন্দর্ভ’ লাইব্রেরিতে দেখার সুযোগ হয়েছিল।

তাঁর মতে, এগুলো উন্নত বিশ্বের অনেক কোর্সের ‘টার্ম পেপার’–এর যোগ্যও নয়।

অন্যের গবেষণা চুরি আরেক ধরনের ভণ্ডামি। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অন্তত দুটি ঘটনা ঘটেছে। ফার্মেসি বিভাগের একজন শিক্ষকের পিএইচডি ‘অভিসন্দর্ভ’–এর ৯৮ শতাংশ ছিল চুরি করে হুবহু অন্য আরেকটি অভিসন্দর্ভের নকল।

তবে আজকাল এতে ধরা পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচুর ‘প্লেজিয়ারিজম’ সফটওয়্যার আছে এসব ধরার জন্য।

তবে সবচেয়ে জোচ্চুরি চলে ‘সম্মানসূচক পিএইচডি’ নিয়ে। একটি টিভি চ্যানেলের মালিক কাম শৌখিন গায়ক তাঁর নামের আগে ড. ব্যবহার করেন, যা বেশ হাস্যরসাত্মক। কোনো অনুসন্ধান ছাড়াই নিশ্চিত করে বলা যায়, তিনি কোনো আসল ডক্টরেটধারী নন।

তাহলে দুর্বল ‘অভিসন্দর্ভ’? তা–ও মনে হয় না। বাকি রইল নকল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ‘সম্মানসূচক পিএইচডি’। মজার কথা হচ্ছে আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কিছু সংস্থাও নাকি ‘সম্মানসূচক পিএইচডি’ দিয়ে থাকেন, যার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেই ‘ঘোড়া আর গাধার পিএইচডি’–এর মতো।

আর তা না হলে নিজেই নীলক্ষেত থেকে একটি সার্টিফিকেট ছাপিয়ে নিজেকে ডক্টরেট ঘোষণা দিতে পারেন—এ দেশে এটাও অসম্ভব না!

পরিশেষ

প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে পিএইচডি শেষ না করেই চলে এসেছিলেন। হাজারো পিএইচডির গুরু ছিলেন তিনি। বর্তমানে পিএইচডির এই দশা দেখলে তিনি কী বলতেন জানি না। ক্ষমতা,অর্থবিত্তের পর এই পিএইচডিও যদি দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা না পায়, তাহলে আমাদের মতো ছা-পোষা শিক্ষাবিদদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বটে!

  • ড. মো. সিরাজুল ইসলাম অধ্যাপক, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও পরিচালক, সেন্টার ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
  • prothom alo