আইএমএফ ২১ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাদের এবারের ঢাকায় আসা মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি নিয়ে আলোচনা করা। সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কর্মকর্তা পর্যায়ে চুক্তির অগ্রগতির জন্য আলোচনা করা। আলোচনা হবে আইএমএফের বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) কর্মসূচি এবং নতুন উদ্যোগ, সহনশীলতা ও টেকসই–সহায়তা তহবিল (আরএসটিএফ) কর্মসূচি থেকে এ ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে।
আরএসটিএফ ঋণের অধীনে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘ মেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে অর্থায়ন করা হয়। আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য চাওয়া চিঠিতে এই আরএসটিএফের কথাও উল্লেখ করেছিল বাংলাদেশ।
এক দশক আগে আইএমএফের ইসিএফ থেকে ৭ কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর এবারই সংস্থাটি থেকে ঋণ নেওয়ার আলোচনা হবে। আইএমএফের কাছে পাঠানো চিঠিতে ঋণ পাওয়ার পক্ষে বাংলাদেশ সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে।
সূত্রগুলো জানায়, আইএমএফের দল আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করবে। এরপর একে একে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের আরও কিছু দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি। আগামী ৮ বা ৯ নভেম্বর দলটির শেষ বৈঠক হবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে।
বাংলাদেশের রাজস্ব প্রশাসনের আধুনিকায়ন, রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমকে গতিশীল করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি, আয়কর আইন ও শুল্ক আইন প্রণয়ন, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও খেলাপি ঋণ কমানো, ভর্তুকি ও প্রণোদনা কমানো, রিজার্ভ গণনার পদ্ধতি ঠিক করাসহ নানা বিষয় থাকবে আইএমএফের আলোচনার মধ্যে।
জানা গেছে, ৪৫০ কোটি ডলারের মধ্যে লেনদেনের ভারসাম্য বাবদ ১৫০ কোটি ডলার ও বাজেট–সহায়তা বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে। বাকি ১৫০ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে আইএমএফের আরএসটিএফ থেকে।