প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেননি তিনি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসাটাও দেননি।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোট বোনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নেই। আমার মেয়ের বয়স তখন ৮ বছর, ছেলের বয়স ১০ বছর। আমি এমন একটা দেশে আসছি যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে তাদের বিচারের হাত থেকে রক্ষা করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না। দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন অনেক শত্রু বাংলাদেশেই আছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২৯ বছর দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।
দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের ফলেই সরকারি কর্মকর্তারা ভোগ করে, তাই তাদেরকে সেটি মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সূত্র : মানবজমিন