উত্তর কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: রিজভী

বাংলাদেশে এখন ‘উত্তর কোরিয়ার মতোই একদলীয় শাসন’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে এখন আর কোনো পার্থক্য নেই। একাকার হয়ে গেছে। এখানে অধিকার নিয়ে কথা বলার মানে হচ্ছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, লাশ হতে হবে। এই হচ্ছে এখনকার বাংলাদেশের চিত্র।

শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন-গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২০৬ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করার পর থেকে সারাদেশে ১৩ হাজার নেতাকর্মীকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ সময়ে ১২ জনকে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৭ নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, সরকার নানাভাবে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা অনর্গল মিথ্যাচার করছে। এক সন্ত্রাসের শৃঙ্খলের মধ্যে সারা বাংলাদেশ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। মানুষ সব কিছু দেখছে। দেখতে দেখতে তাদের ভেতরে যে দ্রোহ, তাদের ভেতরে ভেতরে যে ক্রোধ তা পুঞ্জিভূত হচ্ছে। এটা আওয়ামী লীগ টের পাচ্ছে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘তাণ্ডব’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গ্রেপ্তারের নানা ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি।

এদিকে আরেক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন, অপহরণ ও গুম করে দেশে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে কর্তৃত্ববাদী সরকার। কিন্তু এটি এবার সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, চলমান গণআন্দোলনে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের পতনের আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েছে। তারা নিরীহ মানুষসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গুমের মতো চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে।

সমকাল