ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন পর্ষদ গঠনের দাবি জানিয়েছন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। ব্যাংকটির হারানো গৌরব ফেরানো ও সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে দ্রুততম সময়ে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর চিঠি দিয়ে এ দাবি জানানো হয়। কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পক্ষে চিঠিতে সই করেন ব্যাংকটির এসইভিপি এএসএম রেজাউল করিম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ব্যাংকটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এস আলম গ্রুপ। তার ঘনিষ্ট পরিচালকদের বেশিরভাগই পলাতক। পরিচালকদের কারও আর খোঁজ মিলছে না।
ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল স্টেকহোল্ডারের স্বার্থ রক্ষা, আস্থা ফেরানো এবং সাধারণ কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ ভেঙ্গে সৎ, দুর্নীতিমুক্ত ও ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তি প্রয়োজনে পুরনো পরিচালকদের সমন্বয়ে পর্ষদ পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ আশা করছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতপন্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয় এস আলম গ্রুপ। ওই সময়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে ব্যাংকের মালিকানা বদল করা হয়। সেই বদলে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে অনুমোদন দেন ওই সময়ের গভর্নর ফজলে কবির ও ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। এভাবে মালিকানা বদল নিয়ে তখন নানা সমালোচনা হয়।
samakal