বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ (Except Israel) শব্দ দুটি বাদ দেয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ বাদ দিয়েছে। পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।
গতকাল ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় বিষয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে আব্দুল মোমেন একথা বলেন। রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট নিরসনে ইসরাইলের প্রতি পক্ষপাতিত্বকারী দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার চিত্র তুলে ধরা, শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করা, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয়ের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের দাবিও জানানো হয়।
ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী। এতে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দল কবি নজরুল সরকারি কলেজ দলকে হারায়। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারী, এ কে এম মঈনুদ্দিন, একরামুল হক ও মাসুদ করিম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।