ইলেকশন কমিশনকে নুর”: সামনে ফাইনাল খেলা হবে

logo

স্টাফ রিপোর্টার

২৬ জুলাই ২০২৩, বুধবার

 

নিবন্ধন না দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাওয়ের পূূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের। তবে গতকাল আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয় ঘেরাও করতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে বাংলামোটরে তাদেরকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে দলটির নেতারা। নিবন্ধনে পুনর্বিবেচনার জন্য ইসিকে ৭ দিনের আল্টিমেটামও দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বিজয় নগর কালভার্ট রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পল্টন, জিরো পয়েন্ট, সচিবালয়, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন এবং শাহবাগ হয়ে বাংলামোটরে পুলিশি বাধায় শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক দাবি, শর্ত পূরণের পরও নির্বাচন কমিশন আমাদের দলকে নিবন্ধন দেয়নি। এটা অন্যায় করেছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে এই রাজপথের কর্মীদের সেøাগান নির্বাচন কমিশনকে পৌঁছে দিতে চাই। আর নির্বাচন কমিশনকে বলবো আগামী ৭ দিন আপনাদের সময় দিলাম। এই ৭ দিনের মধ্যে আপনাদের সিদ্ধান্ত যদি পুনর্বিবেচনা না করেন তাহলে নির্বাচন কমিশনের সামনে আমাদের ফাইনাল খেলা হবে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে নুর বলেন, পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, আজ ট্রেলার দেখেছেন, বিনয়ের সঙ্গে আজকের কর্মসূচি এখান থেকে শেষ করবো।

কিন্তু যেদিন এই সরকারের মরণ ঘণ্টা বাজানোর জন্য নামবো, সেদিন কাউকে দেখেও পিছু হটবো না। আরও ট্রেলার দেখবেন ২৭ তারিখ। এরপর ফাইনাল খেলা হবে। এই ফাইনাল খেলায় যারাই সামনে পড়বে তাদের ফুটবলের মতো উড়িয়ে দিতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, আব্দুস জাহের, এডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনুজুর মোর্শেদ প্রমুখ। পরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসি কার্যালয়ে যান।
এ সময় রাশেদ খান বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলাম। পুলিশের অনুরোধে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল কমিশনে আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে স্মারকলিপি ও প্রতিবাদ লিপি জমা দিয়েছি। শুধু গণঅধিকার পরিষদ নয়। নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য সব নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে হবে। তা না হলে এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে।