ইবিতে র‍্যাগিং : অভিযুক্ত ‘পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন’ দাবি ভুক্তভোগীর

  • টি এইচ জায়িম, ইবি সংবাদদাতা
  •  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:১৫
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। – ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির ডাকে চতুর্থবাবের মতো ক্যাম্পাসে এসেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এছাড়া অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার প্রধান সহযোগী তাবাসসুমও ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় ভুক্তভোগীর ‘পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন অন্তরা’ বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি অভিযুক্তরা।

জানা যায়, বেলা ১২টায় বাবা আতাউর রহমানের সাথে ক্যাম্পাসে আসেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে মীর মশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের অফিস রুমে মুখোমুখি বসেন ভুক্তভেগী ও পাঁচ অভিযুক্ত। ঘণ্টাখানেক পর অফিস থেকে বের হন তারা।

এ সময় অভিযুক্ত ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা আমার সাথে অন্যায় করেছে, তাদেরকে আমি চিনিয়ে দিয়েছি। অন্তরা আপু আমার হাত-পা ধরে মাফ চেয়েছেন, অনেক অনুরোধ করেছে। তাদের কান্না কান্না ভাব ছিল। কিন্তু আমি আমার অবস্থানে দৃঢ়।’

এদিকে অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা।

এছাড়া অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, ‘যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলেছি।’ কান্না করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখে কি মনে হয় কান্না করেছি?’

এছাড়া তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলও সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি।

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এ পর্যন্ত চারবার মেয়েকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছি। আমার মেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি সুবিচার প্রত্যাশা করছি। এখানে সুবিচার না পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

উল্লেখ্য, সানজিদা ও তাবাসুসম ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাওয়াবিয়া।