আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ-গুলি, আহত ৫

jugantor

 ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

 ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সংঘর্ষ
ছবি-যুগান্তর

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধ বালুর ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন।

বুধবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকারের লোকজনের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুর্নবাসন এলাকার হযরত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৯), পলশিয়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহআলম (৩০), আমজাদ হোসেনের ছেলে শফিকুল (৩৫), নামদার আলীর ছেলে হোসেন আলী (৫৫), আব্দুল লতিফের ছেলে সবুজ (১৮) ও ইয়াসিনের ছেলে ইয়ামিন (৩৮)।

স্থানীয় সূত্রে গেছে, নিকরাইলে প্রায় ২০টি অবৈধ বালুর ঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের বালু ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদী শুকিয়ে চর জেগে উঠলে শুরু হয় নদীর পাড় কেটে বিক্রি।

বুধবার দুপুরে নিকরাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন সরকারের লোকজন ভিট বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের ১০ জন আহত হন।  পরে পুলিশ এসে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে সাত রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

আহত শহিদুল ইসলাম বলেন, যমুনার নদীর বাগানবাড়ি এলাকায় অন্যের জমির ওপর দিয়ে ভিট বালুর ঘাটের রাস্তা তৈরি ও দখল করছিল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজন। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে হামলা চালানো হয়। তাদের ছোড়া পাথরের আঘাতে আমার পায়ের হাড় ভেঙে গেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও নুহু মেম্বারের লোকজন বালুর ঘাট দখল করে মাটি তোলার যন্ত্র (ভেকু) ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে লুটপাট করে। এ সময় তারা ককটেল ও গুলি ছুড়ে। এতে ঘাটে থাকা আট জন আহত হয়েছেন।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির লোকজন অন্যের জমি দখল করে ঘাট তৈরি করছিল। এ সময় তারা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে ১০ জন আহত হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আব্দুল ওহাব জানান, বালুর ঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাত রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।

তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।