আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামি করলেও দেশের জনগণ তা করবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে আমাদের আপত্তি ভারতের শাসকদের নীতি নিয়ে। তাই দল-মত নির্বিশেষে ভারতীয় এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক মুখে দুই কথা বলেন। কিন্তু তাঁর এই দ্বৈততার মধ্যেই প্রকৃত সত্যটি বের হয়ে আসে। আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে তিনি বলেছেন-‘আমাদের সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি’। একই সভায় তার বক্তব্যের আর এক জায়গায় তিনি বলেছেন ‘নির্বাচনে ভারত জোরালোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি জরুরি ছিল’। আবার তিনি আর একটি সভায় বলেছেন ‘নির্বাচনের সময় ভারত পাশে দাঁড়িয়েছিল, স্বীকার করতেই হবে’। আবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সব অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙেছে’। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়- ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা আবারও দখল করেছে।
লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশি রাফিউল ইসলাম টুকলুকে বিএসএফ গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অরাজক লুটেরা খুনি গণধিকৃত বাকশালী শাসনের পক্ষে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বার বার বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, বিদেশি প্রভু। তারা দেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানিয়েছে। ওদের (আওয়ামী লীগ) হাতে গোলামির জিঞ্জির আর আমাদের হাতে স্বাধীনতা। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই।’
সূত্র : সমকাল