- পিরোজপুর সংবাদদাতা
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
পিরোজপুর শহরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির বিয়ের আসর থেকে কনেকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিকের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগের পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও কনের পিতা মো: দেলোয়ার হোসেনের অভিযোগ, শুক্রবার আছর নামাজ বাদ আমার নিজ বাসভবনে এ বিয়ের আক্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা বরপক্ষ আমার বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বরসহ আসেন।
আক্দ অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক তার কতিপয় সমর্থক নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে অনুষ্ঠান থেকে মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় মেয়ে ফারহানা আক্তার আইভিকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। তখন উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাধার মুখে আমার মেয়েকে অপহরণ করতে না পেরে বর পক্ষকে নানা হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর গ্রাম থেকে আসা বর পক্ষের লোকজন ভয়ে বিয়ে বন্ধ করে তাদের বাড়িতে চলে যান।
এ সময় অনিরুজ্জামান অনিক তার সাথে থাকা আব্দুল আলীম ও শাওনকে নিয়ে কনের পিতাকে হুমকি দিয়ে বলেন, তার মেয়েকে আবুল কালামের ছেলে আব্দুল আলীম ছাড়া অন্য কারো সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না। যদি বিয়ে দেয়া হয় বাসর ঘরে মেয়ের স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে এবং মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।
দেলোয়ার হোসেন এই ঘটনাটি পিরোজপুর পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে জানান। এরপর খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ে পক্ষকে অভয় দেয়ার চেষ্টা করেন। তারপরেও দেলোয়ারের পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক অনিক, আব্দুল আলীম ও শাওনসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ পিরোজপুর সদর থানায় দিয়ে এসেছি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক মেয়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি তার এক বন্ধুর জন্য পারিবারিকভাবে বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুস সোবাহান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ আওয়ামী লীগের পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি ও কনের পিতা দেলোয়ার হোসেন থানায় দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।