আরো একটি মামলায় সস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

 আমার দেশ
১৩ এপ্রিল ২০২৩

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান

নিজস্ব প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরো একটি মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কারাদণ্ড দিয়ে প্রচারণা চালানোর জোর তৎপরতায় সরকার। সরকারের এই তৎপরতায় সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন জেলা জজ আদালতের বিচারকরা।

এবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আওয়ামী আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলায় তারেক-জোবায়দা কে পলাতক দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ই এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তারেক-জোবায়দার পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন জানানো হলে তা নাকচ করে দেন বিচারক। এর আগে রোববার (৯ই এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তারেক-জোবায়দার পক্ষে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগ করতে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে দুদক এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ১৩ই এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় ২০২২ সালের পহেলা নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আদালতের এই নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে তারা পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর জরুরী আইনের সরকার রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় অভিযোগপত্র।

এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ই এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা রহমান। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।